এস এম আকরাম হোসেন ঃ
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামীলীগ হচ্চে বটবৃক্ষ, এই বটবৃক্ষকে কেউ ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিবে? ১০ ডিসেম্বরে আবারও প্রমান হয়ে গেছে। ফেলে দিলেন না, পল্টনে সমাবেশ করলেন না, আমি কিন্তু দুদিন আগে বলেছি সমঝোতা হবে। আমাদের আকাশে কালো মেঘ কেটে যাবে। গতকাল কি মেঘ ছিল, মেঘ কেটে গেছে। আতন্ক মানুষের আতন্ক দুর হয়ে গেছে। স্বস্তি পেয়েছে। সরকারের অনুমোদিত জায়গায় তাদেরই চয়েজ সমাবেশ করেছে।
শেখ হাসিনার মতো ভাগ্যবতী নেতা সৎ নেতা আদর্শবান নেতা আছে বলেই বাংলাদেশ করোনা মোকাবেলা করেছে। উন্নয়নে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।পঁচাত্তুরের পর শেখ হাসিনার মতো ভালো নেতা আর একজন ও আসেনি।
স্বল্পআয়ের গরিব মানুষ বিপদে আছে শেখ হাসিনা শিকার করেন। কিন্তু সামালতো দিচ্ছে।বিদ্যুতের ঘার্তি ছিলো এখন আর নেই। রিজার্ভ কমে ছিলো এখন আবার বাড়ছে। আমাদের কাছে এখন ৫ মাসের আমদানির মেটানোর মতো রিজার্ভ আছে।জ্বালানীতেল, ভৈজ্য তেল, গম, ডাল, ভুট্টা,খাদ্য বেশি দামে কিনে অল্প দামে জনগণের কাছে পৌছে দিয়েছে প্রধান মন্ত্রী।
মুসলেকা দিয়ে তারেক জিয়া পালিয়েছিলো লন্ডনে দেখতে দেখতে ১৫ বছর। তারেক আসবে কোন বছর।
বিএনপির ৭জন নাকি পদত্যাগ করবে।৫ জন নাকি পদত্যাগ করে ফেলেছে।আর ২ জন নাকি বাইরে আছে তারাও হয়তো সেটাই করবে। বিএনপির ৭ জন ছাড়াও সংসদে ওয়ার্কারস পার্টি, সমাজ তান্ত্রিক দল, বিকল্প ধারা, তড়িকত ফেডারেশন, জাতীয়পার্টি আছে তারাতো আর বিরোধীদের বয়কটে অংশ নিচ্ছে না। তারা তো আর কেউ পদত্যাগ করেনি তাহলে বিএনপির ৭ জন কি? সিন্ধুর মধ্যে বিন্দু।তাদের ছাড়া সংসদ অচল হবে না। এ বুদ্ধি যারা দিয়েছে তারা অচিরেই পচতাবে।মানুষের যখন পতন আসে তখন ইচ্ছার বিরোদ্ধেও ভুল করে।
গত কালকে একটু মেঘ ছিলো সব মেঘ কেটে গেছে। অতংকিত মানুষের আতংক কেটে কেছে।অনুমদিত জায়গায় তাদের চয়েজে মিটিং করেছে।
আজকে বিদেশি দূতাবাস সহিংসতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে উদ্দিগ্ন হয়। পুলিশের উপর যখন হামলা হয়।পুলিশ যখন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তখন কোথায় যায় মানবাধিকার। কিসের মানবাধিকার আপনার দেশে প্রতিদিন নারী ধর্ষিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলছি। তখন কি মানবাধিকার নষ্ট হয় না। মানবাধিকার তখন কোথায় থাকে।
আজ রবিবার মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমরা জানি ষড়যন্ত্র চলছে,কারা এই ষড়যন্ত্র করে, যারা এই দেশের স্বাধীনতা চায়নি। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, যারা শেখ হাসিনার উপর বুলেট হামলা করেছে। তারাতো বাংলা ভাই সৃষ্টি করছে। যারা ইট দিয়ে পুলিশের মাথা থেতলিয়ে দিয়েছে, এই বিএনপি – জামাত জোট তারা পায়তারা করছে পিছন দিয়ে কিভাবে ক্ষমতায় আসতে পারে। তাই আমাদের সজাক থাকতে হবে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, ২০১৫ ও ২০১৮ সালে পেট্রোল মেরে যারা মানুষ হত্যা করেছে, হাজার হাজার গাড়ী পুড়িয়ে, নতুন করে তারা যদি আবার অগ্নিসংযোগ করে,আগুল জ্বালায় সেই হাত আগুনে পুড়িয়ে দিতে বলেছে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড: গোলাম মহীউদ্দীনের সভাপতিত্বে সাধারন সম্পাদক আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যে এ্যাড: কামরুল ইসলাম এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মানিকগঞ্জ-২ এর সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ্যাডঃ আব্দুল মজিদ ফটো, সহ সভাপতি ও মেয়র রমজান আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব সাহা, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনের জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে পুনরায় এ্যাড: গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড: আব্দুস সালাম ও সিনিয়র সহ সভাপতি এ্যাডঃ আব্দুল মজিদ ফটোর নাম ঘোষনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
উল্লেখ্য,দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি এ জেলায় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।