নিউজ ডেস্ক:
ঘন কুয়াশা কেটে যাওয়ায় ১০ ঘণ্টা পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে এই নৌরুটে ফেরিসহ সব প্রকার নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, কুয়াশায় বন্ধ থাকার কারণে মাঝ নদীতে রোরো ফেরি খান জাহান আলী, কেরামত আলী ও ইউটিলিটি ফেরি হাসনা হেনা যাত্রীবাহী যানবাহন নিয়ে সারা রাত নোঙ্গর করে থাকে। মানিকগঞ্জ জেলার পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে রোরো ফেরি রহুল আমিন, বরকত ও ইউটিলিটি ফেরি চন্দ্র মল্লিকা যানবাহন নিয়ে ঘাটে নোঙ্গর করে ছিলো। দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে রোরো ফেরি বীরশ্রেষ্ট জাহাঙ্গীর, শাহ পরান, ইউটিলিটি ফেরি বনলতা,মাধবীলতা, ফরিদপুর ফেরি যানবাহন নিয়ে নোঙ্গর করে ছিলো।
এদিকে টানা ১০ ঘণ্টা দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে যাত্রীবাহী পরিবহন ও পন্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়। এতে যাত্রী ও চালকদের সারারাত শীতের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। লোকসান গুনতে হয় ব্যবসায়ীদের। দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে আটকা পরায় অনেক শিক্ষার্থী নিবন্ধন পরীক্ষা দেওয়া থেকে বঞ্চিত হন।
কুমারখালী থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস লালন পরিবহনের চালক রাজ্জাক জানান, ‘ঘাটে আগের মতো দুর্ভোগ নেই। তবে কুয়াশার কারণে রাত ১টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গাড়ি অনেক ছাত্র ছিলো। যাদের আজ ১০টায় নিবন্ধন পরীক্ষা ছিলো। কিন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় সারারাত দৌলতদিয়া ঘাটে শীতের মধ্যে কাঁটাতে হয়েছে।’
ঢাকাগামী জাকির হোসেন নামের এক হাই স্কুল শিক্ষক বলেন, ‘দৌলতদিয়া ঘাটে অপেক্ষায় আছি ফেরি পারের জন্য। তবে ঘন কুয়াশার কারণে ঘাট থেকে কোনো ফেরি ছেড়ে যাচ্ছে না। যে কারণে প্রয়োজন থাকার পরও দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে শীতের মধ্যে অলস সময় বসে থাকতে হচ্ছে।’
ট্রাক চালক ইসমাইল নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘পদ্মা সেতু শুরু হওয়ার পর থেকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে আর দুর্ভোগ পোহাতে হয় না। তবে আজ ১০ ঘণ্টা ঘাটে নদী পারের জন্য অপেক্ষায় সময় কাটাতে হলো।’
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা বন্দরের পরিচালক শাহ খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি বন্ধ রাখতে হচ্ছে। গতকাল রাত ১টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে সকাল ১১টায় পুনরায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।’