মো: সেলিম মিয়া:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাড. তারানা হালিম বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় এদেশে জঙ্গিবাদ, জিএমবি, হিজবুত তাহেরি, আনছার উল্লা বাংলাটিমের উত্থান গঠেছিল। তখন দেশে লুণ্ঠন, ধর্ষণসহ অনেক নৈরাজ্য হয়েছে। তারা ১৩৪ জনকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং ৩শ জনকে অগ্নিদদ্ধ করেছে। কাজেই তাদের কাছথেকে সাবধানে থাকতে হবে। তারা অগ্নি সন্ত্রাসে তাজা। তারা সামনে অসৎ উপয়ে ক্ষমতায় আসার জন্য দেশের মানুষকে আবারো আগুনে পুরিয়ে মারতে পারে।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক চত্বরে বিএনপি-জামায়াত অশুভ শক্তির সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও সড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে রাজনীতি করার জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেত্রী সুযোগ করে দিয়েছিল। এটি তার উদারতা। কিন্তু উদারতাকে কখনো দুর্বলতা মনে করবেন না। কারন আওয়ামী লীগ মাঠে রাজনীতি করে আজ ক্ষমতায়। তারা ঘরে বসে রাজনীতি করেনা।
তারানা হালিম তাদের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা বিএনপির সমর্থকদরে কাছে গিয়ে বলবেন আপনারা যদি ক্ষমতায় আসেন তাহলে প্রধানমন্ত্রী কে হবে। মির্জা ফখরুল, তারেক জিয়া, মির্জা আব্বাস নাকি বেগম খালেদা জিয়া। তারাতো কিছুই বলতে পারবেন না। তাদের তো জানতে হবে। নেতা বিহীন দলতো সমস্যা।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন রাসিয়া-ইউকেন যুদ্ধের কারনে সারা পৃথিবী মন্ধা চলছে। সে কারনে আমাদের দেশও বাদ যায়নি। এই মন্ধার সময় অন্যকোন সরকার এসে দেশের উন্নয়ন করতে পারবেনা। কারন তাদের বুঝতেই কয়েক বছর চলে যাবে। সে জন্য আবারও দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. গোলাম মহীউদ্দীন, সহ সভাপতি অ্যাড. আব্দুল মজিদ ফটো, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সালাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আরশেদ আলী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ প্রমুখ।