এস এম আকরাম হোসেন:
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানিকগঞ্জ মডেল হাই স্কুলের সামনে থেকে বিএনপির পদযাত্রা শুরু হয়ে বান্দুটিয়া গিয়ে শেষ হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খশরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল থেকে মানিকগঞ্জ মডেল হাই মাঠে বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মী খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে এসে জরো হয়। পরে পদযাত্রার মিছিল নিয়ে সেওতা- বান্দুটিয়া সড়ক প্রদক্ষিন করে।
এসময় আরোও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীর, সহ সভাপতি এ্যাড: আজাদ হোসেন খান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপি নেতা গোলাম কিবরিয়া সাইদ সহ অন্যান্যরা।
এসময় জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক এ্যাড: জামিলুর রশিদ খান, পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন আহম্মেদ যাদু, জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সত্যেন কান্ত পন্ডিত ভজন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আবেদিন কায়সার, জেলা যুবদলের আহবায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, সদস্য সচিব তুহিনুর রহমান তুহিন, সাবেক সহ সভাপতি গোলাম রফি অপু, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জিয়াউদ্দিন আহম্মেদ কবির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জিন্নাহ খান,সদস্য সচিব রকিবুল ইসলাম রাকিব, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাবিহা হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুমা আক্তার মুক্তি, জেলা শ্রমিকদলের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক লিটন ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম খান সজিব, সাবেক সাধারন সম্পাদক নুরশাদ উল ইসলাম জ্যাকী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল খালেক শুভ সহ জেলা, উপজেলা বিএনপি, যবুদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলাদল, শ্রমিকদল ও ছাত্রদলের কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আফেরোজা খান রিতা বলেন, আপনারা অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আজকে এখানে সমবেত হয়েছেন। পুলিশের বাধা যুবলীগের বাধা ছাত্রলীগের বাধা উপেক্ষা করে আজকে এখানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানাই। আগামীতে কিন্তু আমাদের রাজপথে নামতে হবে এটা কিন্তু এখন থেকেই মাথায় ঢুকিয়ে রাখতে হবে। আগামীতে আমরা আর অলিগলিতে ঢুকবো না, আমাদের রাস্তায় থাকতে হবে যত বাধাই আসুক আমরা যুদ্ধ করে আসামি হতে চাই ঘরে বসে আসামি হতে চাই না।
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খশরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নি: শর্ত মুক্তি ও নিরদলীয় তত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবী জানান। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তারেক রহমানের ১০ দাবী আদায়ে নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহবান জানান।
বিএনপি ঘোষিত প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে হাজার নেতাকর্মী নদী সাতরিয়ে, পায়ে হেটে না খেয়ে সমাবেশ করে। কিন্তু আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে নেতাকর্মী টাকা দিয়ে ও বিরানি খাওয়াই নেতাকর্মী আনতে পারে না। কারন বিএনপির সাথে সাধারণ জনগনও নি: শার্তভাবে আসে আর আওয়ামী লীগকে সাধারন জনগন আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।