নিউজ ডেস্ক:
ঢাকা ওয়াসার ২০২১-২২ অর্থবছরের বিল কালেকশনে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে নগদ লিমিটেড। ঢাকা ওয়াসার সারা বছরের বিল কালেকশন সার্ভিসে নগদ-এর অনবদ্য সেবার জন্য এ স্বীকৃতি দিয়েছে ঢাকা ওয়াসা।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম নগদ-এর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
এ সময় মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম এবং ঢাকা ওয়াসার বোর্ড চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ড. গোলাম মোস্তফা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও তাকসিম এ খান।
নগদ-এর পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক এবং চিফ কমার্শিয়াল অফিসার মো. সিহাব উদ্দীন চৌধুরী।
এ সময় নগদ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, সাধারণ মানুষের জীবনকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে আনতে নগদ শুরু থেকেই পরিষেবার বিল দেওয়াকে সহজসাধ্য একটি কাজে পরিণত করেছে। ফলে যে কেউ যেকোনো সময় চাইলেই মোবাইল ফোনের মাত্র কয়েকটা বাটন চেপেই বিল দেওয়া সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেন। এতে আমাদের গ্রাহকদের মূল্যবান সময় যেমন বাঁচছে, তেমন সাশ্রয় হচ্ছে অর্থ। আমরা ঢাকা ওয়াসাকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের সম্মানিত করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, কোভিডের সময় মোবাইলের মাধ্যমে পরিষেবার বিল দেওয়া অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আর এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে নগদ।
ওয়াসার বিল দিতে নগদ-এর শ্রেষ্ঠত্বও সেই সফলতারই একটি স্মারক। নগদের প্রতি গ্রাহকের এ ভালোবাসাই আমাদের নতুন নতুন সেবা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে আনতে অনুপ্রাণিত করছে।
ঢাকা ওয়াসার বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরির পুরস্কারের মধ্যে আরও বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পুরস্কার অর্জন করেছে। এরমধ্যে ব্যাংক ও অন্যান্য এমএফএস প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
নগদ-এর যাত্রা শুরুর পর থেকে মানুষের জীবন সহজ করার কাজ করছে নগদ। যার ফল হিসেবে মানুষ খুব সহজে ঘরে বসে নিজের মোবাইল থেকে বিল দিতে পারছেন। করোনা মহামারিতে বিল পে সার্ভিস ফ্রি করেছিল নগদ, যা অন্যান্য এমএফএস সেবাকেও উৎসাহিত করেছিল। বর্তমানে আরও বেশি সার্ভিসে বিল পে সার্ভিস উপভোগ করতে পারছেন নগদ গ্রাহকরা। যার কারণে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে অনায়েসে বিল দিতে পারছেন গ্রাহকরা।