1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন

মানিকগঞ্জের আন্ধারমানিক-বেউথা সড়কের বেহাল দশায় চরম ভোগান্তিতে জনগণ

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৩
  • ২৪২ বার দেখা হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:

মানিকগঞ্জের পৌর এলাকার বেউথা-আন্ধারমানিক সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চলাচলকারীরা শুষ্ক ও বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে সড়কের পাশের এলাকার বাড়িঘর ধুলায় ধূসরিত, আর বর্ষায় রাস্তা কাদা পানিতে সয়লাব থাকে।  এতে প্রতিদিনই ভোগান্তিতে পড়ছেন সড়ক দিয়ে চলাচলকারী লক্ষাধিক মানুষ।

এলাকাবাসী ও চলাচলকরী যানবাহনের চালকরা জানান, হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক হয়ে বেউথা দিয়ে পাটুরিয়া যেতে দূরপাল্লার বাস, মালবাহী ট্রাক ও লড়ি চালকরা এ সড়ক ব্যবহার করেন। বালু ব্যবসায়ীদের মাটি আর বালুর ট্রাকের কারণে সড়কে খানাখান্দের সৃষ্টি হয়েছে বলে তাদের ভাষ্য।

এ সড়ক দিয়ে হরিরামপুর উপজেলা ও শিবালয় উপজেলার আরোয়া ও শিমুলিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ জেলা শহরে যাতায়াত করে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বেউথা সেতুর তিন রাস্তা মোড় থেকে আন্ধারমানিক তিন রাস্তা মোড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কের বেশিরভাগ জায়গায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দে ভরে গেছে।

শনিবারের সামান্য বৃষ্টিতে সড়কটির কয়েক জায়গায় হাঁটু পানি জমেছে।  কাদায় সয়লাব হয়েছে কয়েক জায়গায়।

এলাকাবাসী জানায়, বৃষ্টি না থাকলে যানবাহন চলাচলের সময় ধুলায় অন্ধকার হয়ে যায় এলাকার বাড়িঘর। সড়কের আশপাশের বাড়ি এবং গাছপালার উপর ধুলার ঘন আস্তর পড়ে যায়। আর বৃষ্টি হলে কাদা পানিতে ভরে যায়। তখন গাড়ি উল্টে যায়, সৃষ্টি হয় নানা ভোগান্তি।

এ সড়কে চলাচলকারী লরি চালক কালাম মিয়া বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি বেহাল। যানযট এড়িয়ে সিংগাইর-হেমায়েতপুর সড়ক দিয়ে ঢাকা যেতে আমরা এ সড়ক ব্যবহার করি।”

আন্ধারমানিক গ্রামের খোরশেদ মিয়া (৫৫) বলেন, “এ পথে হাঁটতে গেলেও ধুলায় শ্বাসকষ্ট হয়। গাছপালা ও ঘরবাড়িতে ধুলার আস্তর পড়ে গেছে। গাড়ি কাত হয়ে উল্টে যায়। আর সামান্য বৃষ্টি হলে কাদা পানিতে একাকার হয়।”

আন্ধারমানিক গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (৪২) বলেন, “গরমের সময় অনেকের ঘরের ভিতরেও ধুলার আস্তর পড়ে যায়। ঘরের খাবার, জামাকাপড় ধুলার কারণে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। রাস্তাটি সংস্কার জরুরি।”

মুদি দোকানদার রায়হান মিয়া (৫৫) বলেন, “ধুলায় দোকানের মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর ভাঙা রাস্তায় সামান্য বৃষ্টিতে চোখের সামনে কত গাড়ি উল্টে যায়! এখন একদিকে ধুলা, আর অন্যদিকে বর্ষায় কাদার কারণে এ রাস্তায় চলাচল করা যায় না।”

চা দোকানদার রাজা মিয়া ও ছোরহাব মিয়া বলেন, ধুলাবালুর কারণে চায়ের দোকানেও চা-বিস্কুট খেতে লোকজন কম বসে।

ফারুক মিয়া নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, “মোটরসাইকেল চালিয়ে এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচল করি। এত বাজে সড়ক কমই আছে। সড়কটি সংস্কার করা হোক।”

অটোরিকশা চালক রাসেল মিয়া বলেন, “লেছড়াগঞ্জ থেকে এ সড়ক দিয়ে মানিকগঞ্জ বেউথা স্ট্যান্ড চলাচল করি। ভাঙা সড়কে চলাচল করতে গিয়ে কয়েকবার ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।”

মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু নাহিদ  বলেন, হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সড়কটি সংস্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। গত বছর ৩৭ লাখ টাকা দিয়ে চলাচল উপযোগী করা হয়েছিল। তবে আবার খানাখন্দ হয়েছে। দুয়েকদিনের মধ্যে কিছু অংশে কাজ করা হবে।

শিগগিরই পৌরসভা থেকে বড় প্রকল্প দিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ সড়ক সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury