নিউজ ডেস্ক:
পঞ্চগড় সদর উপজেলায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় চোর সন্দেহে সালাম (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যার দীর্ঘ ৯ মাস পর মরদেহ বাংলাদেশে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
শনিবার (২০ মে) সন্ধ্যায় তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী সীমান্তের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে মরদেহটি দেশে আনা হয়। তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ গ্রহণ করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের মাধ্যমে রাতেই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহত সালাম পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের কাহারপাড়া এলাকার মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে।
এর আগে, গত ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট রাতে বাংলাদেশি যুবক সালাম রাজগঞ্জ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার চাউলহাটি সংলগ্ন বড়ুয়াপাড়া গ্রামে কয়েকজন যুবকের সাথে প্রবেশ করলে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে মারা যায়। পরদিন বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে। এরপর ভারতীয় পুলিশ মরদেহটি ভারতের একটি হাসপাতালের হিমঘরে রেখে দেয় এবং দীর্ঘ ৯ মাস পর বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়।
জানা যায়, ঘটনার পর থেকে প্রশাসনের সহায়তায় উভয় দেশের হাইকমিশন ও মানবাধিকার কর্মীদের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে যোগাযোগ করা হয় ভারত থেকে মরদেহটি দেশে আনার জন্য।
এদিকে, দীর্ঘ সময় ধরে মরদেহ ভারতে আটক রাখার পাশাপাশি নির্মম হত্যাকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান তারা।
সালামের বড় ভাই আলিম হোসেন বলেন, ঘটনার পর থেকে ছোট ভাইয়ের মরদেহ নিতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করি। সকলেই অপেক্ষায় ছিলাম কবে তার মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হবে। দীর্ঘ ৯ মাস পর ভারতের সাড়া পেয়ে আমি একজন ইউপি সদস্যকে সাথে নিয়ে গত ১৬ মে ভারতে যাই। শনিবার মরদেহ দেশে আনা হয়েছে।
সাতমেরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগসহ হাইকমিশনে যোগাযোগ করে আসছিলাম। অবশেষে মরদেহ প্রশাসনের সহায়তায় দেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ পাওয়ার পর সকল আইনি ব্যবস্থা শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।