নিউজ ডেস্ক:
প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকার পর আজ থেকে সারাদেশে আবারও শুরু হয়েছে করোনা টিকা কার্যক্রম। এবার দেওয়া হচ্ছে টিকার তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ। এসব ডোজের সব টিকা হবে ফাইজারের ভ্যারিয়েন্ট কনটেইনিং টিকা।
মঙ্গলবার (৩০ মে) কোভিড-১৯ ফাইজার ভ্যারিয়েন্ট কনটেইনিং ভ্যাকসিন (ভিসিভি) কার্যক্রম সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ থেকে কোভিড-১৯ ফাইজার ভ্যারিয়েন্ট কনটেইনিং ড্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী গত ২৫ মে এ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন।
এবারের করোনা টিকার তৃতীয় ও চতুর্থ ডোজ নিতে পারবেন, দেশের ১৮ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে সব নাগরিক। করোনা টিকার ২য় ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণের কমপক্ষে ৪ মাস হলে তৃতীয় ডোজ (বুস্টার) ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। আর তৃতীয় ডোজ প্রদানের কমপক্ষে ৪ মাস পর যেকোনো প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিক চতুর্থ ডোজ (বুস্টার) ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন।
৪র্থ ডোজ (বুস্টার) টিকা পাবেন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ৬০ বছর বা ততোর্ধ্ব বয়সের মানুষজন। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর বয়সী জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জনগোষ্ঠী, গর্ভবর্তী মা এবং ফ্রন্ট লাইনাররা।
গত ২৯ মে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ফাইজার থেকে বাংলাদেশ বিনামূল্যে ৩০ লাখ ডোজ টিকা পাচ্ছে। এসব টিকা তৃতীয়, চতুর্থ ডোজ হিসেবে অথবা বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫৯ জনের। যদিও এ সময়ের মধ্যে করোনায় কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। সারাদেশে এপর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৪৬ জন। আর এ পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৩৯ হাজার ২৪৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ২৪৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনা শনাক্তের গড় হার ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ। করোনায় মৃত্যুর হার মোট আক্রান্তের ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।