মো: মহিদ:
মানিকগঞ্জের ঘিওরে একসঙ্গে চার শিশুর জন্ম দিয়েছেন রোমানা আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধু। সোমবার সকাল ৭টার দিকে ঘিওর উপজেলার গিলন্ড এলাকার মুন্নু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে চার সন্তানের জন্ম দেন গৃহবধু রোমানা আক্তার। চার সন্তানের মধ্যে ২ জন ছেলে ও ২ জন মেয়ে। গৃহবধু রোমানা আক্তার শিবালয়ের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ধানধারা এলাকার কৃষক শেখ নয়ন মিয়ার স্ত্রী। তিনি একই ইউনিয়নের হাপানিয়া এলাকার বাবুল মিয়ার মেয়ে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিন ভাই-বোনের মধ্যে শেখ নয়ন একমাত্র ছেলে। ২০২১ সালে শেখ নয়ন মিয়ার সাথে পারিবারিকভাবে রোমানা আক্তারের বিয়ে হয়। হঠাৎ করে সোমবার ভোরে প্রসববেদনা উঠায় ভোরবেলায় গৃহবধু রোমানা আক্তারকে মুন্নু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর সকাল ৭টার দিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ২ ছেলে ও ২ মেয়ের জন্ম হয়। এরা শেখ নয়ন মিয়া ও রোমানা আক্তারের দাম্পত্য জীবনের প্রথম সন্তান। শেখ নয়ন মিয়া জানান,পরিবারের তিন ভাই-বোনের মধ্যে আমি সবার ছোট। সন্তান হওয়ায় খবর শুনে সবাই খুশি হয়েছে। তবে হাসপাতালের ঔষধ, ভর্তি এবং স্ত্রী সন্তানের চিকিৎসার খরচ নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। ইতিমধ্যে ৩০-৩৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। এর মধ্যে আবার সন্তানদের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসা দিতে হবে, সেখানে প্রতিদিন ৩০ হাজার টাকা খরচ হবে। সন্তান হয়েছে খুশি কিন্তু এক সাথে চার সন্তান হওয়ায় খুব চিন্তা হচ্ছে। এখন যদি কোন ব্যক্তি বা প্রশাসন আর্থিকভাবে সহযোগীতা করতো, তাহলে আমার উপকার হতো। কারন স্ত্রী ও চারসন্তান আমার কাছে এখন বড় একটা চ্যালেঞ্জ। শিশুদের দায়িতরত চিকিৎসক আবু সাঈদ মোহাম্মদ আসলাম জানান, জন্মের পর পর শিশুদের শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ায় জরুরী ভিত্তিতে শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে দুপুরের দিকে তিনজনের অবস্থা স্বাভাবিক হয়। শুধুমাত্র ছোট মেয়ের অবস্থা সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক হয় নি। তবে সেও বিপদমুক্ত। আশা করছি রাতের মধ্যে শিশুদের বেডে দিতে পারবো এবং মায়ের অবস্থাও ভালো আছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ জানান, বিষয়টি জানা ছিল না। শেখ নয়ন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে, চিকিৎসার ও তার সন্তানদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ্য থেকে সহযোগীতা করা হবে।