স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জ-সিঙ্গাইর আঞ্চলিক মহাসড়কে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার সকালে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে যানবাহনে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে এই মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা বিএনপির বিপক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, আজ শুক্রবার ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে নেতা-কর্মীদের যেতে বাধা দিতে তল্লাশি ও হয়রানি করা হচ্ছে। আর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ঢাকায় যেতে সহযোগিতা করছে পুলিশ।
সিঙ্গাইর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবিদুর রহমান খান বলেন, বিগত সময়ে ধল্লা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে তল্লাশিচৌকি থাকলেও সেখানে পুলিশের তৎপরতা খুব একটা চোখে পড়েনি। তবে ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে তিন দিন ধরে পুলিশ তল্লাশিচৌকিতে তৎপরতা চালিয়ে আসছে। আজ ভোর থেকে সেখানে তল্লাশি আরও জোরদার করা হয়েছে। বাস থেকে দলের নেতা-কর্মীদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তল্লাশি করছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার ধল্লা সেতুর পশ্চিম প্রান্তে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তল্লাশি করছে পুলিশ।
তবে ধল্লা পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, এ ফাঁড়ির সামনে প্রতিনিয়ত তল্লাশি করা হয়। কোনো দলের কর্মসূচি উপলক্ষে এই তল্লাশি করা হচ্ছে না।
সিঙ্গাইর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সায়েদুর রহমানের নেতৃত্বে দলীয় নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছেন। তবে আওয়ামী লীগের নেতা সায়েদুর রহমান দাবি করেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানি করতে তাঁরা অবস্থান নেননি। ঢাকায় তাঁদের ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’য় দলীয় নেতা-কর্মীরা যাতে সুশৃঙ্খলভাবে যেতে পারেন, তা তদারক করছেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা বলেন, মহাসমাবেশ করতে পুলিশ প্রশাসন অনুমতি দিলেও রাস্তাঘাটে পুলিশই বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছে। যানবাহন থেকে নেতা-কর্মীদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেক নেতা-কর্মীকে আটক ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঢাকায় যেতে সহযোগিতা করছে পুলিশ। পুলিশর এই বৈষম্য প্রত্যাশিত নয়। গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে যেতে মানিকগঞ্জের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশ ‘গায়েবি’ মামলায় জামিনে রয়েছেন। মামলা না থাকলেও অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুজন সরকার বলেন, কোনো দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সেখানে (ধল্লা) তল্লাশিচৌকি বসানো হয়নি। অবৈধ যানবাহন এবং মাদক পাচার রোধে প্রতিনিয়তই সেখানে তল্লাশি করা হয়। কাউকে হয়রানি করতে গ্রেপ্তার অথবা আটক করা হচ্ছে না। পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।