স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার গোয়ালখালী বাজারে নাজির উদ্দিন মন্ডল নামে এক ব্যবসায়ীর দোকান ঘরে হামলা চালিয়ে টাকা লুটপাটসহ ঘরের নির্মাণাধীন ইটের দেয়াল ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ওই ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী শিবালয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু থানায় কোন প্রতিকার না পেয়ে তিনি মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিবালয় ইউনিয়নের গোয়ালখালী বাজারে নাজির উদ্দিন মন্ডল দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে রাইস মিলের ব্যবসা করেন। গত ২৩ জুলাই রোববার সকালে তার রাইস মিল সংলগ্ন পূর্ব দক্ষিণ অংশে রাজমিস্ত্রী দিয়ে তার দোকানটির মেঝো পাকার কাজ শুরু করেন। হঠাৎ করে দুপুর আড়াইটার দিকে একই এলাকার মো. জালাল, মো. কালাম, আনোয়ার হোসেন, আহাম্মদ আলী, রাজা, কাবিল উদ্দিন সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীবাহিনী নিয়ে তার নির্মাণাধীন কাজে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা নির্মাণাধীন তার ইটের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে। নাজির উদ্দিন এ বিষয়ে বাঁধা দিতে গেলে অভিযুক্ত মো. কালাম তার সঙ্গে থাকা ব্যবসায়িক কাজের এক লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং তাকে মারতে উদ্যত হয়। তার ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে নাজির উদ্দিন মন্ডল উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে শিবালয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এ বিষয়ে শিবালয় থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষের শান্তির লক্ষ্যে থানায় আপস মিমাংসার জন্য সালিশ বৈঠকের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু বিবাদীপক্ষের লোকজন থানায় সালিশ বৈঠকে যেতে রাজি না হওয়ায় সে বিষয়টির আর কোন সুরাহা হয়নি। আর থানা পুলিশ অভিযোগটি আমলে না নিয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে বাদীর অভিযোগ রয়েছে। পরে নাজির উদ্দিন মন্ডল মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার সিআই মামলা নং-১৯৬.
এ বিষয়ে নাজির উদ্দিন মন্ডল বলেন, আমার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে উক্ত আসামীরা হামলা চালিয়ে এক লক্ষ টাকা লুট করে নিলো এবং ঘরের ইটের দেয়াল ভেঙ্গে ফেললো। অথচ আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও কোন প্রতিকার পেলাম না। পরে বাধ্য হয়ে ন্যায় বিচারের স্বার্থে মানিকগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছি। মহামান্য আদালত পার্শবর্তী উলাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমানকে উক্ত মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. জালাল জানান, নাজির উদ্দিন মন্ডল দোকান ঘরের মেঝো পাকা করতে গিয়ে তার জমি থেকে আরও আধা ফুট বাহিরে ঈদগাহ মাঠের জায়গায় ইটের দেয়াল নির্মাণ করে। তাই আমরা সেটি ভেঙ্গে ফেলেছি। আর টাকা নেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।