জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সবসময়ই ইসলামের খেদমত ও উন্নয়নে কাজ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশে ইসলাম চর্চার ক্ষেত্র প্রসারিত হয়েছে।
এ সময় ইসলামের মর্মবাণীকে ধারণ করে সমাজ থেকে অন্ধকার, অশিক্ষা, বিভেদ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল এবং ইসলামের অপব্যাখ্যাকারী শক্তিকে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান তিনি।
রোববার (১৩ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও বাংলাদেশ দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ২০২৩’-এর জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ী হাফেজগণের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
পুরস্কার বিজয়ীদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আশা করি, তোমরা পবিত্র কোরআন এর মর্মবাণী ধারণ করে নিজেকে আলোকিত করবে। সমাজকে আলোকিত করবে। সমাজ থেকে কুসংস্কার, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে অবদান রাখবে। আদর্শ সমাজ ও শান্তিপূর্ণ দেশ গঠনে তোমরা এগিয়ে আসবে।’
জাতীয়ভাবে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য এর উদ্যোক্তা-বাংলাদেশ দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় আমাদের ছেলে-মেয়েরা প্রতি বছরই বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে অনেক ভালো ফল অর্জন করছে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় তারা একাধিক গ্রুপে চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় মর্যাদা ও গৌরবের বিষয়।’
এই ধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয়ভাবে পবিত্র কুরআনের হিফজুল প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান করতে পারা যেকোনো মুসলিম সমাজের জন্যই গৌরবের বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহাগ্রন্থ আল কুরআন সাধারণ কোনো গ্রন্থ নয়, এটি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিলকৃত আসমানী কিতাব। আল্লাহতায়ালা ওহীর মাধ্যমে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর প্রতি মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাজিল করেছেন। আল কুরআন আমাদের ইহকালীন ও পরকালীন জীবনের কল্যাণ ও মুক্তির পথ দেখায়।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন খাঁটি মুসলমান। তিনি যেমন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি তেমনি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামের প্রচার-প্রসারের স্থপতিও তিনি। বঙ্গবন্ধু একদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, অন্যদিকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধকে বিবেচনায় নিয়ে ইসলামের প্রচার ও প্রসারে বাস্তবভিত্তিক ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও মাদ্রাসা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেন।’
‘১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু বায়তুল মোকাররম মসজিদে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিলের শুভ উদ্বোধন করেন এবং এর মাধ্যমে দ্বীনি খেদমতের এক নবদিগন্ত উন্মোচিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় পর্যায়ে আজ অবধি নিয়মিত ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হয়ে আসছে। তিনি তাবলীগ জামাতের জন্য কাকরাইল মসজিদে জমি দান করেন। টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার জন্য জায়গা বরাদ্দ দেন। জামিয়া মাদানিয়া দারুল উলুম যাত্রাবাড়ী কওমী মাদ্রাসা জন্যও জমি প্রদান করেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বেতার ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠান শুরু ও সমাপ্তিতে কুরআন তিলাওয়াতের প্রচলন করেন। তিনিই প্রথম আইন করে মদ নিষিদ্ধ করেন; ঘোড়দৌড় ও জুয়া বন্ধ করেন। যে মদের লাইসেন্স বঙ্গবন্ধু বন্ধ করে দিয়েছিলেন তা জিয়ার আমলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। হজযাত্রীদের জন্য ক্রয়কৃত জাহাজ ‘হিজবুল বাহার’কে জিয়া প্রমোদতরীতে পরিণত করে।’
মাত্র সাড়ে তিন বছরের সরকারে বঙ্গবন্ধু ইসলামের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার নেতৃত্বে মুসলিম বিশ্বসহ আরব দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপিত হয়। ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু আরব বিশ্বের পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং সাহায্য প্রেরণ করেন। তার কূটনৈতিক দূরদর্শীতায় বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসি’র সদস্যপদ লাভ করে।’
এই ধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয়ভাবে পবিত্র কুরআনের হিফজুল প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান করতে পারা যেকোনো মুসলিম সমাজের জন্যই গৌরবের বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহাগ্রন্থ আল কুরআন সাধারণ কোনো গ্রন্থ নয়, এটি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিলকৃত আসমানী কিতাব। আল্লাহতায়ালা ওহীর মাধ্যমে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর প্রতি মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাজিল করেছেন। আল কুরআন আমাদের ইহকালীন ও পরকালীন জীবনের কল্যাণ ও মুক্তির পথ দেখায়।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন খাঁটি মুসলমান। তিনি যেমন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি তেমনি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামের প্রচার-প্রসারের স্থপতিও তিনি। বঙ্গবন্ধু একদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, অন্যদিকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধকে বিবেচনায় নিয়ে ইসলামের প্রচার ও প্রসারে বাস্তবভিত্তিক ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও মাদ্রাসা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেন।’
‘১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু বায়তুল মোকাররম মসজিদে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিলের শুভ উদ্বোধন করেন এবং এর মাধ্যমে দ্বীনি খেদমতের এক নবদিগন্ত উন্মোচিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় পর্যায়ে আজ অবধি নিয়মিত ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হয়ে আসছে। তিনি তাবলীগ জামাতের জন্য কাকরাইল মসজিদে জমি দান করেন। টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার জন্য জায়গা বরাদ্দ দেন। জামিয়া মাদানিয়া দারুল উলুম যাত্রাবাড়ী কওমী মাদ্রাসা জন্যও জমি প্রদান করেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বেতার ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠান শুরু ও সমাপ্তিতে কুরআন তিলাওয়াতের প্রচলন করেন। তিনিই প্রথম আইন করে মদ নিষিদ্ধ করেন; ঘোড়দৌড় ও জুয়া বন্ধ করেন। যে মদের লাইসেন্স বঙ্গবন্ধু বন্ধ করে দিয়েছিলেন তা জিয়ার আমলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। হজযাত্রীদের জন্য ক্রয়কৃত জাহাজ ‘হিজবুল বাহার’কে জিয়া প্রমোদতরীতে পরিণত করে।’
মাত্র সাড়ে তিন বছরের সরকারে বঙ্গবন্ধু ইসলামের উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ নেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার নেতৃত্বে মুসলিম বিশ্বসহ আরব দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপিত হয়। ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে বঙ্গবন্ধু আরব বিশ্বের পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং সাহায্য প্রেরণ করেন। তার কূটনৈতিক দূরদর্শীতায় বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসি’র সদস্যপদ লাভ করে।’