স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জ সদরে বিবাহিত এক নারীকে ইভটিজিংয়ের (উত্ত্যক্ত) অভিযোগে দেওয়ান আবুল বাসার (৩৩) নামের এক কথিত সাংবাকিদকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে সদর উপজেলায় বান্দুটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ইভটিজিংয়ের শিকার ওই নারী এক সন্তানের জননী। তিনি মানিকগঞ্জের একটি রেসরকারি ক্লিনিকে চাকরি করেন।
আটককৃত দেওয়ান আবুল বাশার সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বিনানুই এলাকার আইয়ুব আলী মাস্টারের ছেলে। তিনি একটি জাতীয় পত্রিকা সময়ের কন্ঠস্বর পত্রিকায় কাজ করেন।
পুলিশ জানান,দীর্ঘদিন ধরে বিবাহিত ওই নারীকে ইভটিজিং(উত্ত্যক্ত) করে আসছিল কথিত সাংবাদিক দেওয়ান আবুল বাশার। এঘটনায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর থানায় মৌখিক অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। অভিযোগের পর কয়েকদিন চুপচাপ থাকলেও সোমবার দুপুরে ওই নারী বাড়িতে একা থাকায় ওই নারীর বাড়িতে যায় এবং ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে ওই নারী ও তার পরিবারকে হুমকি-ধামকি দিয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন দেওয়ান আবুল বাশার। এসময় ওই নারী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে দেওয়ান আবুল বাশারকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে বেধে রেখে পুলিশকে খবর দেয়।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান,দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাঘাটে ইভটিজিং এবং কু-প্রস্তাব (অনৈতিক)দিয়ে আসছিল দেওয়ান আবুল বাশার।গত ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধা্য় বাড়ি ফেরার পথে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের পাশে কু প্রস্তাব দেন দেওয়ান আবুল বাশার। কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় টানা হেচরা করেন। এসময় চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দেওয়ান আবুল বাশার পালিয়ে যায়।পরে বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানালে,পরিবারের লেকজন থানা পুলিশকে জানান।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)আব্দুর রউফ সরকার জানান,খবর পেয়ে আহত অবস্থায় কথিত সাংবাদিককে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এঘটনায় সদর থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলার পর কথিত সাংবাদিককে গ্রেফতার দেখানো হবে। পৌর এলাকার বান্দুটিয়া গ্রামে দেওয়ান আবুল বাশার ভাড়াবাসায় থাকতেন।
এরআগেও নারীঘটিত অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল এই আবুল বাশার।এছাড়া এক মাটি ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা চাওয়ার সদর উপজেলার মিতরা এলাকায় গণপিটুনিতে মারাত্মক ভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।