মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি,২৭ সেপ্টেম্বর
বারো বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে জন্ম দিয়েছেন সন্তান।কিন্তু ধর্ষণকারীর বিষয়ে মুখ খোলেননি শিশুটি।তার মা দুইজনকে আসামী করে মামলা করলেও তাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলেনি।অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে দেড় বছর পর বেরিয়ে এলো ধর্ষণের পর জন্ম নেওয়া শিশুর জৈবিক পিতার পরিচয়।
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় এঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নুর আলমকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।তিনি উপজেলার খাসেরচর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সৈয়দ মিজানুর রহমান জানান, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়।এরপর সে গর্ভবতী হলে ছয় মাস পর বিষয়টি টের পান পরিবার।ভিকটিমের মা বাদি হয়ে ওই গ্রামের দুইজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে আদালতে পাঠান।আদালত তাদের কারাগারে পাঠান।
গত বছরের ১ নভেম্বর একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন শিশুটি।আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এজাহার নামীয় ওই দুই আসামীসহ স্থানীয় একজনের ডিএনএ পরীক্ষা করেন।কিন্তু তাদের তিনজনের রিপোর্টই নেগেটিভ আসে।পরে স্থানীয়দের কাছে থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেশি নূর আলমের ডিএনএ পরীক্ষার করায় পুলিশ।
মঙ্গলবার(২৬ সেপ্টেম্বর)সিআইডির ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরী অব বাংলাদেশ থেকে নুর আলমের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যায়।
ওসি মিজানুর রহমান জানান,ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ি নুর আলম ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া ওই শিশুর জৈবিক পিতা।রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে রাতেই নুর আলমকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নুর আলম ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছেন। বুধবার(২৭ সেপ্টেম্বর)দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।