নুসরাত জাহান তনিমা, স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জে সাত বছরের ছেলেসহ বিষপান করেছেন মিতা সরকার (৩০) নামে এক গাইনী চিকিৎসক। বিষপানে হাসপাতালে শিশু রনজয় মন্ডল রুশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে জেলা সদর হাসপাতালে শিশুটির মৃত্যু হয়। অপরদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় দুপুরে ডা: মিতা সরকারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সাবেক উপ-পরিচালক ডা: রঞ্জিত মন্ডলের ছেলে ডা: রঞ্জন মন্ডলের সাথে ৮/৯ বছর আগে মিতার বিয়ে হয়। মিতা সরকার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার নারায়ন সরকারের মেয়ে। বিয়ের পর তাদের সংসারে রুশুর জন্ম হয়। গত দুই বছর আগে মিতা ও রঞ্জনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর থেকে মিতা তার সন্তান রুশুকে নিয়ে শহরের গঙ্গাধরপট্টি এলাকার খান মজলিস টাওয়ারের ৬ তালার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। পাশাপাশি তিনি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ট্রমা জেনারেল হাসপাতালের নিয়মিত গাইনী চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে নিহত শিশুর দাদা ডা: রঞ্জিত মন্ডল তার নাতিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন সাবেক পুত্রবধুর বিরুদ্ধে।
তিনি বলেন, ডা: মিতা রানী তার কর্মস্থলের আরেক চিকিৎসক অর্ঘ্য সরকারের সাথে পরকীয়াসহ বিভিন্ন অবৈধ সম্পর্কে জড়িত ছিল। পরকীয়ার কারণেই সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ঘটিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
এদিকে মিতার কথিত প্রেমিক সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো এ্যানেস্থেসিয়ার চিকিৎসক অর্ঘ্য সরকার জানান, মিতা তার ভাল বন্ধু ছিল। মিতা তাকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল। বিচ্ছেদের পর থেকে সে অনেক হতাশায় ভুগছিল। হতাশা থেকেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
মানিকগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ সরকার জানান, সকালে খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহালের জন্য মর্গে স্থানান্তর করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই চিকিৎসক সন্তানসহ বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।