স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জে প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে বিলকিছ আক্তার (২৩) নামের এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে মানিকগঞ্জ পৌরসভার বৈতরা এলাকার মো. সুমন হোসেনের বাড়ি থেকে কলেজছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার।
নিহত কলেজছাত্রীর বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা সিংজুরী ইউনিয়নের হাটকুড়িয়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মো. বাবু মিয়ার মেয়ে। বিলকিছ মানিকগঞ্জ মহিলা কলেজের ছাত্রী। তার জন্মের কয়েক বছর পরে তার বাবা, মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে প্রায় ১০ বছর ধরে বৈতরা সুমন হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন মা-মেয়ে। ভাড়া বাড়ি থেকে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে প্রবাসে যান বিলকিসের মা। বর্তমানে তিনি প্রবাসেই রয়েছেন।
বাড়ির মালিক মো. সুমন হোসেন জানান, প্রায় ৪ বছর আগে সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের মেঘশিমুল গ্রামের সোহেলের সঙ্গে বিয়ে হয় বিলকিছের। বিলকিছের মা বিদেশ থাকলেও ঘর ছাড়েন নাই। তিনি প্রতি মাসেই ভাড়া দিতেন। দেড় মাস আগে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ভাড়া বাড়িতে আসেন বিলকিছ। এখান থেকেই পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। এর মাঝে ১০ থেকে ১৫ দিন আগে তার স্বামীর বাড়ির পরিবারের লোকজন তাকে নিতে আসছিলেন। তখন বিলকিছ আর স্বামীর বাড়িতে যাবেন না বলে জানিয়ে দেন এবং বিবাহ বিচ্ছেদের কথাও বলেন। তার সঙ্গে অন্য এক ছেলের সম্পর্ক আছে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, বিলকিছের সঙ্গে অন্য এক ছেলের সম্পর্ক ছিল। এ কারণে স্বামীর সংসার ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। গত রাতের কোনো এক সময় বিলকিছ ঘরের ফ্যানের রডের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। আজ সকালে যখন তার লাশ উদ্ধার করা হয় তখন তার মোবাইল ফোনে ভিডিও কল চলছিল। স্থানীয়দের ধারণা, তার প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া করে তাকে ভিডিও কলে রেখে তিনি আত্মহত্যা করেছে।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মাসুদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। এবং তার ফোনও আমাদের হেফাজতে নিয়েছি।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।