স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জ সদরে আশ্বিনের ঘূর্ণিঝড় আঘাতে মানুষের বাড়িঘর ও গাছপালাসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবের কারনে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। বাড়িঘর বাহিরে খোলা আকাশের নিচে দুশ্চিনায় দিন কাটছে তাদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বজ্রপাত ও বৃষ্টির সাথে হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার বিকেলে থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়নের ঘোস্তা, চান্দরা ও পশ্চিম হাসলীসহ আশপাশের এলাকার উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মানুষের বাড়িঘর টিনের চাল। গাছপালার ব্যাপকক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়,ঘূর্ণিঝড় আঘাতে মানুষের ঘরের ভেঙে গেছে। উড়ে গেছে টিনের চাল। বড় বড় গাছপালা ভেঙে গেছে। বিদ্যুতের তার ছিড়ে যায়, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। রাস্তা-ঘাটের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় মানুষের যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে।
পশ্চিম হাসলী এলাকার মো.বোরহান আলী জানান, ঘূর্ণিঝড়ের খবর শুনে শুক্রবার ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসছি। এসে দেখি ঘরের টিনের বেড়া ও টিনের চাল উড়ে গেছে। বেড়াগুলো খুঁজে পেলেও টিনের চালের খুঁজে পাই নাই।
ক্ষতিগ্রস্ত মনোয়ারা বেগম জানান,বৃষ্টির কারনে পরিবারেরে লোকজনকে নিয়ে ঘরের মধ্যে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার সন্ধায় ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ঘরের চাল উড়ে যায়। বাড়ির গাছপালা ভেঙে যায়। পরে জান বাঁচাতে দৌড়ে আরেকজনের বাড়িতে গিয়ে উঠি। আশ্বিনের ঘূর্ণিঝরে আমাগো সব শেষ করে দিল।
ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল জলিল মিয়া জানান,দেখে এসেছি আশ্বিন মাসে বৃষ্টি হয় কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বাপের জন্মেও দেখি নাই। এমনিতেই বৃষ্টিতে আমাদের অবস্থা খারাপ তারমধ্যে আবার ঘূর্ণিঝড়। কিছু থেকৈ কি করবো,এখন তো সেটাই বুঝতেছিনা। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর ঠিক করতেও টাকর দরকার। এখন এতো টাকা পাবো কোথায় আর সংসার চালাবো কিভাবে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মহিদুর রহমান জানান,তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ পরিবারের মাঝে চাল-ডাল বিতরণ করা হয়েছে। কারন ঘূর্ণিঝড়ের কারনে অনেকে সব শেষ হয়ে গেছে। তাদের নামের তালিকা করে উপজেলায় দেয়া হবে। যাতে ক্ষতিগ্রস্তরা কিছৃ সাহায্য পায়।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জ্যোতিশ্বর পাল বলেন,খবর পেয়ে স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শণ করেছি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে। তাৎক্ষনিত ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ জনের মাঝে ১৫ কেজি চাউল, দুই কেজি আলু, এক কেজি করে তেল ও লবণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।