দীপক সূত্রধর:
মানিকগঞ্জ ২-আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের উপস্থিতিতে এবং অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যের পূর্বে সিংগাইর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুর রহমান বলেন, বিএনপি’র নেতারা ও ফখরুল যা বলে আমাদের টুলু ভাইও তাই বলে।কথার মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। ফখরুল বলে দেশে কোন উন্নয়ন হয় নাই বিএনপি’র নেতারা বলে কোন উন্নয়ন হয় নাই আমাদের টুলু ভাইও বলে কোন উন্নয়ন হয় নাই। কারণ ওর জাত ভালো নাতো, ওর রক্ত ভালো নাতো! ও তো বিএনপি থিকা উইঠা আইছে সেই কারণে সে কোন উন্নয়ন চোখে দেখে না।
রবিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের এক সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, এই টুলু সাহেব খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই মানিকগঞ্জে ফখরুল সাহেব আসছিল এবং সেই ফখরুল সাহেবের মিটিংয়ের সমস্ত টাকা-পয়সা এই টুলু সাহেব দিছে।এবং তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক থেকে লাইভ করছিল খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে। আর এটি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আছে ,আমাদের কাছেও আছে! এই লোক কীভাবে বলে আমি আওয়ামীলীগ করি,আওয়ামীলীগের মনোনয়ন নিবো? যে শেখ হাসিনার উন্নয়ন স্বীকার করে না,উন্নয়ন প্রচার করে না সে কীভাবে আওয়ামীলীগ করে আর কীভাবে মনোনয়ন চায়? সে যদি বিএনপি-জামাতের ভাষায় কথা বলে তাহলে তাকে কি বলবো? এই লোক কোন দিনও আওয়ামীলীগ করে না সে বেইমান,বিশ্বাস ঘাতক!
তিনি আরও বলেন,তার কয়ডা ট্যাকা হইছে তাও বউয়ের ট্যাকা নিজের ট্যাকা না।তার বউয়ের নাকি খুব শখ যে স্টিকার লাগবো। কিসের স্টিকার বলে এম.পি এর স্টিকার। শখ হইছে বউয়ের তাই এম.পি হওয়া লাগবো টুলু ভাইয়ের। বউয়ের শখ মিটানোর জন্য এম.পি হইতে আইছে! আরে নেতা তোমারে কোন মিছিলে দেখি নাই, কোন মিটিংয়ে দেখি নাই, কোন সংগ্রামে দেখি নাই, আমি এত দিন ধরে আওয়ামীলীগ করি একটা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে তোমার কোন সম্পর্ক নাই, কোথাও গেলে তুমি আওয়ামীলীগ রে চিনো না।কয়ডা ট্যাকা হইছে তোমার সেই ট্যাকা দিয়া মানুষ কিনা তুমি এম.পি হইবার আইছো? স্বপ্ন বাদ দেও! এই খোয়াব তুমি দেইখো না! এই খোয়াব তারেক জিয়ার দলে যেয়ে দেখাও গা। তুমি সিংগাইরে থাইকা আওয়ামীলীগ রে বিভক্ত করবা,টাকা-পয়সা দিয়া আওয়ামীলীগের দলটা নষ্ট করবা এই স্পর্ধা তোমাকে কে দিয়েছে?
শেখ হাসিনা উন্নয়ন করছে, মমতাজ বেগম উন্নয়ন করছে কিন্ত এই উন্নয়নকে অস্বীকার করে উন্নয়ন হয় নাই বলে খালেদা-জামাত-বিএনপি’র কথা বলে তুমি আওয়ামীলীগের ভোট চাইতে আসছো? আমরা এই নেতাকে বয়কট করলাম! যার ভিতরে আওয়ামীলীগের ভালোবাসা নাই, আর্দশ নাই, নেতাকর্মীদের প্রতি প্রেম নাই সে কখনোই আওয়ামীলীগ করতে পারে না।
শহিদুর রহমান বলেন, সে কমার্শিয়াল লোক। আজকে লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা খরচ করতেছে সে এম.পি হইলে হাজার হাজার কোটি টাকা এই সিংগাইরের মানুষের থেকে লুট করে নিবে। অতএব তুমি আর্দশ কিনতে আইসো না,আওয়ামীলীগ রে কিনতে আইসো না,শেখ হাসিনারে কিনতে আইসো না। এই বাংলাদেশ লেইখা দিলেও দুনিয়ার কোন টাকা দিয়া শেখ হাসিনারে কিনতে পারবা না,নমিনেশনের খোয়াব তুমি দেইখো না।
অতএব আজকের এই আওয়ামীলীগের সভা থেকে তোমারে সতর্ক করে দিলাম, ভালো হয়ে যাও, আওয়ামীলীগের উন্নয়নকে স্বীকার করো।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, সিংগাইর পৌরসভার মেয়র আবু নঈম বাশার সহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।