দ্বীপক সূত্রধর, ১৬ নভেম্বর: মানিকগঞ্জে দুইটি হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন এই রায় দেন। যাবতজীবন সাজা প্রাপ্তরা হলেন, জেলার দৌলতপুর উপজেলার কলিয়া ইউনিয়নের উয়াইল গ্রামের মৃত সাহেব আলীর ছেলে কফিল উদ্দিন, আওলাদ হোসেন, একই গ্রামের তৈমুদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার খাগড়াকুড়ি গ্রামের ব্রজেন্দ্র মন্ডলের ছেলে রঞ্জিত কুমার মন্ডল। আদালত তিন আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। অপর আসামী রঞ্জিত কুমার মন্ডল পলাতক রয়েছেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৫ জানুয়ারি দৌলতপুর উপজেলার উয়াইল গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে আব্দুর রশীদের ৮ বছরের মেয়ে বিথীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে কফিল, আওলাদ ও দেলোয়ার। ঘটনার পরদিন বিথীর বাবা ওই তিনজনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় আদালত তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। সেই সাথে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়। এদিকে ২০০৮ সালের ১৭ জুলাই রাতে সদর উপজেলার খাগড়াকুড়ি গ্রামে দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্বামী রনজিৎ কুমার মন্ডলের হাতে খুন হন স্বরস্বতী মন্ডল নামের এক গৃহবধু। রনজিৎ তার ফার্মে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে স্বরস্বতীকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় পরদিন নিহতের মামা রনজিৎ ও তার ফার্মের কর্মী আতোয়ারকে আসামী করে থানায় মামলা করেন। আদালত ওই মামলার সাক্ষ্যপ্রমান শেষে রনজিৎকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দেন। রায়ে পলাতক রনজিৎকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডও প্রদান করা হয়। হত্যার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা না থাকায় আতায়োরকে বেকুসুর খালাস প্রদান করা হয়।