শরিফুল ইসলামের আউটসাইড অফের বলে পরাস্ত হন গ্লেন ফিলিপস। পথের কাঁটা সরিয়ে শরিফুল ইসলাম মেতে ওঠেন বুনো উল্লাসে। খাদের কিনারা থেকে দলকে লিড এনে দিলেও সাইট স্ক্রিন নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন ফিলিপস। ড্রেসিংরুমে যাওয়ার আগে অভিযোগও জানিয়ে যান।
তৃতীয় দিন শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল এই এক ফিলিপস। বাকি ব্যাটারারা আসা যাওয়ার মিছিলে থাকলেও সংক্ষিপ্ত ক্রিকেটের এই আগ্রাসী ব্যাটার হাজির হন ঠিক আগ্রাসী মেজাজেই। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে একশর আগেই অলআউটের শংকা জাগিয়ে পাল্টা লিড নিয়ে মাঠ ছাড়ে নিউ জিল্যান্ড।
বলা চলে ফিলিপস ঢাকা টেস্ট জমিয়ে দিয়েছেন এক অর্থে। হাতে প্রায় আড়াই দিন সময়। দুই দলের সামনেই সুযোগ সমান। বাংলাদেশের ১৭২ রানের বিপরীতে খেলতে নেমে নিউ জিল্যান্ড অলআউট হয় ১৮০ রানে। ৮ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নামবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
শের-ই-বাংলার স্পিন স্বর্গে রক্ষণাত্বক ব্যাটিংয়ে উল্টো বিপদ বাড়ে। ৫৫ রানে কিউইদের ৫ উইকেট হারানোর পর যেন বোধধয় হয় কিউইদের। রক্ষণাত্মক খেলা বাদ দিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেন সফরকারীরা।
মাত্র ৩৭.১ ওভার খেলেই ১৮০ রান করে নিউ জিল্যান্ড। ওভার প্রতি যোগ করেছেন ৪.৮০। যাতে সিকিভাগ অবদান ফিলিপসের। ৫ রানে অপরাজিত থেকে দিন শুরু করা ফিলিপস ফিফটি তোলেন মাত্র ৩৮ বলে। শেষ পর্যন্ত থামেন ৭২ বলে ৮৭ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে।
আর কেউ বিশের বেশি রান করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান আসে কাইল জেমিসনের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া ড্যারিল মিচেল ১৮ ও টিম সাউদি ১৪ রান করেন। মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম তিনটি করে উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও নাঈম হাসান।
বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় দিন খেলা বাতিল হয়। তৃতীয় দিন শুরু হয় দুপুর ১২টায়। আর্লি লাঞ্চের পর নিউ জিল্যান্ডের অলআউটে দেওয়া হয় আর্লি টি। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আকাশের অবস্থা খারাপ দিকে যাচ্ছে। সময় বলে দেবে এই টেস্টের গন্তব্য কী হতে যাচ্ছে।