এখন শীত মৌসুম। বাজারে পাওয়া যাচ্ছে গাজর, ফুলকপি, ব্রকলি, টমেটোসহ নানা সবজি । অনেক সময় সবজি কাটার পর কিছু অংশ রান্না করা হয় আর কিছু অংশ সংরক্ষণের প্রয়োজন পড়ে। আবার প্রতিদিন বাজার করার মতো সুযোগ না থাকলে একদিনে পুরো সপ্তাহের বাজার না করে উপায় থাকে না! সঠিক উপায়ে সবজি সংরক্ষণ করে অনেকদিন পর্যন্ত খেতে পারেন।
ইটিংওয়েলের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সবজি ঠিকমতো সংরক্ষণ করতে না পারলে এর স্বাদ এবং গন্ধ পরিবর্তন হয়ে যায়। সংরক্ষিত সবজির স্বাদ যদি টক হয়ে যায় তার অর্থ দাঁড়ায় এটি আর খাওয়ার উপযুক্ত নেই। গন্ধ পরিবর্তন হয়ে গেলে সংরক্ষিত সবজি আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই সংরক্ষিত সবজি রান্না করার আগে স্বাদ এবং গন্ধ পরীক্ষা করুন নিজেই।
তবে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে পারলে সবজি ভালো থাকার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। চলুন সঠিক উপায়গুলো জানা যাক।
ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধা কপি: এসব সবজি সংরক্ষণ করতে চাইলে গরম পানিতে কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপরে পানি ঝরিয়ে এয়ারটাইট বাক্সে ঢুকিয়ে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। বাঁধাকপির ক্ষেত্রে ভালো করে কুঁচি করে কেটে নিন। এরপরে ভাপে সেদ্ধ করে নিন। পানি ঝরিয়ে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
পালং শাক: এই শাক ৪৫ সেকেন্ডের বেশি ফোটাবেন না। পালং শাক ফুটিয়ে নেওয়ার পর ঠান্ডা পানির মধ্যে দিয়ে দিন। পারলে ওই পানির মধ্যে কয়েকটি আইস কিউবও দিয়ে দিতে পারেন। এভাবে এক মিনিটের জন্য রেখে দিন। এবার পানি ঝরিয়ে নিন। আপনার হাতের মধ্যে পালং শাক রেখে আলতো করে চাপ দিয়ে পানি বের করে নেবেন। এরপর সেদ্ধ করা পালং শাক এয়ারটাইট জারে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন।
টমেটো: টমেটো সস থেকে শুরু করে যে কোনো আমিষ-নিরামিষ খাবারে এই সবজির প্রয়োজন হয় বেশি। টমেটো সংরক্ষণ করার জন্য প্রথমে টমেটো পেস্ট করে নিন। এরপর ছোট ছোট কিউব আকারে আইস ট্রেটে জমিয়ে সংরক্ষণ করুন।
গাজর: গাজরের খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। একটি পাত্রে পানি ফুটিয়ে তাতে টুকরোগুলো দিন। ঠিক তিন মিনিটের জন্য ভালো করে সিদ্ধ করে নিন। গাজরের টুকরোগুলো ঠান্ডা আইস কিউবের সঙ্গে পানিতে রেখে দিন। এভাবে দুই মিনিট রাখার পরে পানি ঝরিয়ে সুতির কাপড় বা তোয়ালে ভালো করে ছড়িয়ে সম্পূর্ণ শুকিয়ে নেবেন। শুকিয়ে গেলে, একটি জিপ লক ব্যাগে রেখে ফ্রিজে রাখুন।