নতুন বছরে ত্বকের যত্নে চাই নতুন রূপ-রুটিন। সুস্থ ও সতেজ ত্বকের জন্য তিনটি দিক অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এই তিন দিক নিয়ে আলোচনা করার আগে চলুন জানা যাক ত্বকের যত্নে কি কি করতে হবে।
ত্বকের মরা চামড়া উঠিয়ে ফেলার দিকে মনোযোগ দিন। মরা চামড়ার কারণে ত্বক নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এছাড়া, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোষের প্রক্রিয়া ধীর হয়ে আসে। এ সময় মৃত কোষ ত্বকে ব্রেকআউট বাড়ায়। নতুন বছরে প্রতিদিন ত্বক এক্সফোলিয়েট করবেন না, বরং সপ্তাহে এক, দুই দিন পর পর ত্বক এক্সফোলিয়েট করবেন। টোনার ব্যবহার করবেন, কারণ টোনার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখে। ত্বকে আর্দ্রতাও নিয়ে আসে। ত্বকের সঙ্গে মানানসই এসেন্স ব্যবহার করতে পারেন। এসেন্স বা নির্যাস ত্বকে যোগ করে আর্দ্রতা। চোখের চারপাশের ত্বক সবচেয়ে পাতলা হয়। ফলে আর্দ্রতা খুব দ্রুত হারিয়ে যায়। চোখের চারপাশের ত্বক কুঁচকে যাওয়া বা বলিরেখা পড়া থেকে ভালো রাখতে হালকা বা ভারী, পছন্দমতো যেকোনো আই ক্রিম বেছে নিতে পারেন। মনে রাখতে হবে, ত্বক পরিষ্কার এবং আর্দ্র থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান কিন্তু এমনিতেই হয়ে যায়।
ত্বকের যত্নে বিশেষ তিন দিক:
এক: ত্বকের যত্নে হেলাফেলা করবেন না। অবহেলায়, সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন না অনেকেই। কিন্তু জানেন কি, ত্বকের যত্নের সবচেয়ে ব়ড় ভুল এটাই। শীত, গ্রীষ্ম অথবা বর্ষা— সারা বছর সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রতি মনোযোগী থাকতে হবে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য এই হলো সব থেকে ভালো উপায়।
দুই: অনেকেরই ধারণা নেই, বেশি পরিমাণে পানি খেলে তার প্রভাব পড়ে ত্বকেও। শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে আর্দ্রতা হারাতে শুরু করে। ত্বক রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বকে পানির অভাব থাকলে প্রসাধনী ব্যবহারেও লাভ হয় না। সুন্দর চকচকে ত্বক পেতে পর্যাপ্ত পানি খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।
তিন: বাইরের খাবার খাওয়া কমিয়ে আনতে পারেন। বিশেষ করে ভাজাভুজি খাওয়ার অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করুন। ত্বক ভালো রাখতে চাইলে জীবনযাপন একটা নিয়মে বাঁধা জরুরি। এই রূপরুটিনটা মিলিয়ে নিন আপনার ভালো থাকার উপায়ের সঙ্গে।