ঢাকায় নানা আয়োজনে ৭৫তম ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ-ভারত দীর্ঘদিন বন্ধুত্ব উপভোগ করছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দুই দেশের ঐতিহাসিক বন্ধনের সূচনা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদান বাংলাদেশের জনগণ সব সময় মনে রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আগামী দিনে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূল লক্ষ্য- দুই দেশের জনগণের উপকার করা।
ভারতকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী আখ্যায়িত করে তিনি আরও বলেন, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আগামী দিনে দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। তিনি প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, কূটনীতিক, শিল্পী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি ভারতে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা হয়। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ইংরেজ শাসনের থেকে স্বাধীনতা পেয়েছিলো ভারত। সেই দিনটিতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়। কিন্তু সে সময় ভারতের নিজস্ব কোনো সংবিধান না থাকায় ব্রিটিশ সরকারের ১৯৩৫ সালের ‘গভর্নমেন্ট অব ইন্ডিয়া অ্যাক্ট’-এর সংশোধিত সংস্করণ অনুযায়ী স্বাধীন ভারত শাসন করা হত।
উল্লেখ্য, এ বছর দুদিন আগেই প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করে ভারতীয় হাইকমিশন।