আগের ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেছিলেন, ‘চোখের কোনো সমস্যা নেই।’ তবে সমস্যা যে নেই তেমনটাও। চোখের কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই প্রক্রিয়াতে ব্যাটিং চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন সাকিব।
আজ সবাইকে অবাক করে সাকিব রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে তিনে ব্যাটিংয়ে আসেন। শুরুতে একটু অস্বস্তি থাকলেও থিতু হওয়ার পর চেনারূপে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ধ্রুবতারা। ২০ বলে ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ১৭০ স্ট্রাইক রেটে সাজানো ইনিংসে ছিল ১ চার ও ৩ ছক্কা।
সাকিবের ঝড় তোলা ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকার আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুর রাইডার্স ৪ উইকেটে ১৭৫ রানের পুঁজি পেয়েছে। সাকিব বাদে রানের দেখা পেয়েছেন রনি তালুকদার ও বাবর আজম। একাদশে ফেরা রনি ২৪ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৩৯ রান করেন। এছাড়া শেষ ম্যাচ খেলতে নামা পাকিস্তানের তারকা ব্যাটসম্যান বাবর ৪৩ বলে ৫ বাউন্ডারিতে করেন ৪৭ রান।
ইনিংসের শুরুতে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন রনি। শরিফুলকে প্রথম বলে চার মেরে তার হাত খোলা শুরু। এরপর অফস্টাম্পের বাইরে একাধিক চার মেরে নিজের ইনিংস বড় করার আভাস দেন। ফর্মের কারণে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। কিন্তু ফিরে এসে দলের প্রয়োজনে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান তোলেন। স্পিনার আরাফাত সানীকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন।
তিনে ব্যাটিংয়ে নেমে সাকিব প্রথম ১৪ বলে কোনো বাউন্ডারি পাননি। এ সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। মোসাদ্দেককে সুইপ করে মিড অন দিয়ে চার মেরে সাকিব রানের খাতা খোলেন। এরপর পরের চার বলে তার ব্যাট থেকে আসে তিন ছক্কা। প্রথম দুটি মারেন চতুরঙ্গকে। পরেরটি মোসাদ্দেকে। যদিও সীমানায় তাকে জীবন দিয়েছিলেন গুলবাদিন। শেষমেশ মোসাদ্দেককে উড়াতে গিয়ে মিড উইকেটে ধরা পড়েন সাকিব।
শেষ দিকে রংপুরের রান বাড়ান কাজী নুরুল হাসান সোহান ও মোহাম্দ নবী। সোহান ১০ বলে ১৬ ও নবী ১৬ বলে ২৯ রান করেন।
বল হাতে তাসকিন কিংবা শরিফুল কেউ ভালো করেননি। শরিফুল ৪ ওভারে ৩৫ ও তাসকিন ৪ ওভার ৪৩ রান দিয়েছেন। ২ উইকেট পাওয়া মোসাদ্দেক ৪ ওভারে ৩০ রান খরচ করেছেন।
দুর্দান্ত ঢাকার জন্য লক্ষ্যটা আকাশচুম্বী। তবে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ বেশ লম্বা। ব্যাটসম্যানরা লক্ষ্য তাড়ার পরীক্ষায় উতরে যেতে পারবেন তো?