নতুন জুতা পায়ে দিলে অনেক সময় পায়ে ফোসকা পড়ে যায়। আবার পায়ের আঙুলে ব্যথা অনুভব হয়। আরও নানারকম অসুবিধা তৈরি হয়। অনেকেই পছন্দের জুতা মাপমতো না পেলে এক সাইজ ছোট জুতাও ব্যবহার করেন। এটা ঠিক নয়। জুতা কেনার প্রথম শর্ত হওয়া উচিত সঠিক মাপের জুতা। আর তা না পেলে অন্য জুতা পরবেন। এ ছাড়া নতুন জুতা পরে দীর্ঘ সময় হাঁটাহাঁটি না করাই ভালো। অল্প কয়েক দিন ব্যবহারের পর তা পায়ের সঙ্গে খাপ খেয়ে যাবে, তখন জুতা পরে নিয়মিত হাঁটতে পারবেন।
নারকেল তেল: নতুন জুতা পায়ে দেওয়ার পরে পায়ে ফোসকা পড়লে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। পায়ে ক্ষত তৈরি হলে নারকেল তেলের সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে ক্ষতস্থানে লাগানো যেতে পারে। এতে ক্ষত দ্রুত সেরে যায় এবং চুলকানি কমে।
মধু: পায়ের ফোসকাতে মধুও প্রয়োগ করা যায়। যেহেতু মধুতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে, তাই অল্প পরিমাণ মধুর সঙ্গে গরম পানি মিশিয়ে পায়ে ম্যাসাজ করতে পারেন।
হলুদ: হলুদের ব্যবহারও আপনার ক্ষত দ্রুত নিরাময় করতে পারে। হলুদে অ্যান্টি-সেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাই এটি প্রদাহ থেকেও রক্ষা করে।
অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম: যদি ক্ষত বেশি হয়ে যায় এ তবে অবশ্যই ডাক্তার দেখিয়ে পায়ে নির্ধারিত অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম প্রয়োগ করতে হবে।
তুলা: নতুন জুতা পায়ে দেওয়ার পরে অনেক সময় পায়ের আপনার পায়ের আঙুলগুলোতে ব্যথা অনুভব হয়, এই রকম অনুভব হলে জুতার ভেতরে তুলা লাগান। এতে ব্যথা কমে যাবে।
টেপ: ভালো করে খেয়াল করুন জুতার যে অংশের কারণে ফোসকা এবং ক্ষত হচ্ছে, এবার সেখানে টেপ কেটে লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতে অনেকটাই স্বস্তি পাওয়া যাবে।
এ ছাড়াও নতুন জুতার যে অংশের কারণে ব্যথা অনুভব হচ্ছে বা ফোসকা পড়ে যাচ্ছে ওই অংশগুলোতে নারকেল তেল মেখে রাখতে পারেন। এতে জুতার ওই অংশ নরম হয়ে যাবে। এ ছাড়া অ্যালোভেরা জেল লাগালেও উপকার মিলবে। নরম জুতা পায়ে দেওয়া সব থেকে ভালো সমাধান হতে পারে।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস