১০৯ দিন পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং ১০৫ দিন কারাভোগের পর দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কারামুক্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারামুক্ত হন তারা।
দুজনের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের পর মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা দায়ের করা হয়। সব মামলায় আদালত থেকে তিনি জামিন পান। এ ছাড়া, একই ঘটনায় আমির খসরুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা দায়ের করা হয়। সব মামলায় আদালত থেকে তিনি জামিন পান। কারাগারে জামিননামা পৌঁছানোর পর আজ বিকেলে তারা দুজন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিকেল ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এই সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এ ছাড়া, কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।
এই ঘটনার পর গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ ছাড়া, একই ঘটনার পর গত ১ নভেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলায় তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।