বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে পাচ্ছে না শ্রীলঙ্কা। প্রকাশ্যে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করায় শাস্তি হিসেবে তাকে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি। ফলে বাংলাদেশ সফরে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি খেলতে পারবেন না এই লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার।
আইসিসির ধারা ভঙ্গ করায় আগে থেকেই দুই ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয়েছিল হাসারাঙ্গার নামের পাশে। আফগানিস্তান সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে আইসিসির আচরণ বিধির ২.১৩ ধারা লঙ্ঘন করেন তিনি। তাতে যোগ হয় আরও তিন ডিমেরিট পয়েন্ট। আর তাতেই পেয়েছেন দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ২৪ মাসের মধ্যে কোনো ক্রিকেটার পাঁচটি ডিমেরিট পেলে শাস্তি হিসেবে তাকে দুটি সাসপেনশন পয়েন্ট দেওয়া হয়। অর্থাৎ, একটি টেস্ট কিংবা দুটি ওয়ানডে বা দুটি টি-টোয়েন্টিতে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়। তিন সংস্করণের মধ্যে দলের যে খেলা আগে, সেখানে খেলতে পারেন না শাস্তি পাওয়া ক্রিকেটার।
আগামী মাসেই বাংলাদেশ সফরে আসবে শ্রীলঙ্কা। যেখানে তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে এবং দুটি টেস্ট খেলবে তারা। টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই হাসারাঙ্গার খেলার কথা ছিল। সেখান থেকেই দুটি ম্যাচে (৪ ও ৬ মার্চ) কাটা পড়লেন লঙ্কান অধিনায়ক।
এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচশেষে আম্পায়ার লিন্ডন হ্যানিব্যালের একটি সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান হাসারাঙ্গা। কামিন্দু মেন্ডিসের প্রায় কাঁধের কাছাকাছি ‘বিমার’ ডেলিভারি করেন পেসার ওয়াফাদার মোমান্দ। কিন্তু সেটা ‘নো’ বল দেননি হ্যানিব্যাল।
শুধু হাসারাঙ্গাই নন, ওই ম্যাচে আম্পায়ারের নির্দেশনা না মেনে শাস্তি পেয়েছেন আফগানিস্তানের রহমানউল্লাহ গুরবাজও। বারবার সতর্ক করার পরও মাঠে ব্যাটের গ্রিপ পরিবর্তন করায় তাকে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। সঙ্গে নামের পাশে যোগ করা হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের কাছে নিজেদের ভুল স্বীকার করে শাস্তি মেনে নেন হাসারাঙ্গা ও গুরবাজ। তাই আনুষ্ঠানিক কোনো শুনানির প্রয়োজন হয়নি।