নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন হয়েছে বহু আগে। পদ্মা সেতুও হয়ে গেছে। ফেরি আর লঞ্চে নেই সেই চিরচেনা ভিড়। পদ্মা সেতুতে রেল চলছে। ডুয়েল গেজ ডাবল রেললাইনও হয়ে গেছে দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ রেলপথে। কাজ শেষ হয়েছে ঢাকা-এলেঙ্গা চার লেনের। অনেকটাই গুছিয়ে আনা গেছে বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরে যাওয়ার বিআরটি প্রকল্পের কাজ।
সবে শুরু হয়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প। ঈদ যখন আসন্ন, তখন এ সড়কে উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি মাত্র ৬ শতাংশ। ফলে যেসব পথে ঈদের বাড়তি চাপ নামে, তার প্রায় সবগুলোতে স্বস্তির আশা থাকলেও শঙ্কা আছে এ মহাসড়ক নিয়ে। উন্নয়ন কাজের কারণে এ পথে ভোগান্তি হয় কতটা, তা নিয়ে রয়েছে উদ্বেগ।
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী থেকে লাখ লাখ মানুষ প্রতি বছর ছুটে যায় গ্রামে। পথে পথে ভোগান্তি আর যানজটে আনন্দের ঈদযাত্রা হয়ে ওঠে দুর্বিষহ।
তবে এবার মহাসড়কে ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। এজন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) দফায় দফায় বৈঠক করছে। সব উদ্যোগের পরও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কিছুটা জটলা হবে বলে শঙ্কা রয়ে গেছে।
খুলে দেওয়া হয়েছে বিআরটি প্রকল্পের ঢাকা-ময়মনসিংহ লেন
রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের জয়দেবপুর পর্যন্ত সাড়ে ২০ কিলোমিটার সড়কে সাত বছর ধরে চলছে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজ। চলমান এ প্রকল্পেরই কিছু কিছু লেন খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে এ পথে তেমন জটলা হবে না বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
ভোগড়াসহ অনেক ফ্লাইওভার খুলে দেওয়া হয়েছে। ঈদ সামনে। যাত্রীদের যাতে দুর্ভোগ না হয় সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি বিআরটি প্রকল্পের কারণে ঈদে দুর্ভোগ হবে না- প্রকল্প পরিচালক ইলিয়াস শাহ
এ প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪০ মিনিট। তবে কাজ চলমান থাকায় কয়েক বছর ধরে এ পথ পাড়ি দিতে কখনো কখনো কয়েক ঘণ্টা লেগেছে। পরিস্থিতি সামলাতে কখনো বাড়তি সময় নিয়ে যাত্রা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কখনো রেলপথে দেওয়া হয়েছে বাড়তি ট্রেন। এবার এ পথ পুরোপুরি স্বস্তির না হলেও কিছু লাঘব হবে দুর্ভোগ। এরই মধ্য এ পথের বেশ কিছু অংশ চালু হয়েছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় একটি লেন অনানুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে গাজীপুর বাসস্ট্যান্ড (শিববাড়ী) এলাকা থেকে ঢাকামুখী লেনটিও খুলে দেওয়া হয়।
বিআরটি প্রকল্পের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া থেকে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় নির্মিত ফ্লাইওভারের ময়মনসিংহমুখী একটি লেন খুলে দেওয়া হয়েছে। তাতে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী সব যানবাহন এই লেন ব্যবহার করে ভোগড়া ও চান্দনা চৌরাস্তার দীর্ঘ যানজট এড়িয়ে চলাচল করতে পারবে। একই সঙ্গে ফ্লাইওভার ব্যবহার করে ঢাকা থেকে জয়দেবপুরগামী যানবাহন চান্দনা চৌরাস্তার যানজট এড়িয়ে জয়দেবপুরের দিকে যেতে পারবে। তাছাড়া জয়দেবপুর থেকে ঢাকার দিকেও চলাচলের ক্ষেত্রে এ ফ্লাইওভারের লেন ব্যবহার করা যাবে। ৯টি উড়ালসড়কের কোনোটির একটি আবার কোনোটির দুই দিকেরই লেন খুলে দেওয়া হয়েছে।