শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেছে ফিলিস্তিনের আকাশে। সেই হিসাবে বুধবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে হবে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের। ইসরায়েলের হামলা বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিদের কেমন হবে এবারের ঈদ।
৭ অক্টোবর গাজায় হামলা চালায় ইসরায়েল। গত ছয় মাসে ইসরায়েলি হামলায় ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশই নারী ও পুরুষ। গাজার উত্তর ও দক্ষিণের প্রায় প্রত্যেকটি অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। বেঁচে থাকা ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছে জাতিসংঘের আশ্রয় শিবিরে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রবেশ একরকম বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। এর ফলে গাজায় খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। জাতিসংঘ গত মাসেই গাজায় দুর্ভিক্ষের সতর্কবার্তা দিয়েছে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। এখনও গাজায় খাদ্য সরবরাহের জন্য ইসরায়েলের ছাড়পত্র পাওয়া অনেক বেশি কঠিন।
জেনেভায় সাংবাদিকদের জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক সংস্থার মুখপাত্র জেনস লারকে বলেছেন, ‘খাদ্য কনভয়গুলোর যেগুরো বিশেষ করে উত্তরে যাওয়া উচিত, সেখানে ৭০ শতাংশ মানুষ দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতির মুখোমুখি, … অন্যান্য ধরণের উপাদানসহ অন্য যেকোনও মানবিক কনভয় থেকে প্রবেশে বাঁধা দেওয়ার সম্ভাবনা তিনগুণ বেশি।’
গাজার জনপ্রিয় আল রেমাল এবং আল সাহা বাজারে গত বছর শিশুদের জন্য নতুন জামাকাপড়, সেইসাথে চকলেট এবং ঈদের মিষ্টি কেনার জন্য লোকেদের ভিড় ছিল। আজ, দুটি বাজার সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত, রাস্তা বন্ধ এবং কোনো দোকানের শাটার এখনও দাঁড়িয়ে আছে, তবে দেয়াল আর নেই।
এবার গাজা ক্ষুধা, বোমা ও গুলি নিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে। বিধ্বস্ত ছিটমহলে ঈদের নামাজ হয়তো হবে, তবে স্বজনহারা মানুষদের কান্নায় ভারী থাকবে গাজার আকাশ-বাতাস।