এই ম্যাচে দুই দলের জন্যেই দুইরকম সমীকরণ ছিল। বার্সেলোনা জিতলে লিগ শিরোপার আশা বেঁচে থাকবে, হারলে শিরোপার আরও কাছে চলে যাবে রিয়াল মাদ্রিদ। এমন সমীকরণের লড়াইয়ে জিতে বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিলো কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। ম্যাচটি ৩-২ গোলের ব্যবধানে জিতেছে রিয়াল।
রোববার (২১ এপ্রিল) রাতে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের শুরুতে আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেনের গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। পরে সমতা টানেন ভিনিসিউস জুনিয়র। এরপর ফেরমিন লোপেস বার্সাকে এগিয়ে নিলে রিয়ালকে ফের সমতায় ফেরান লুকাস ভাসকেস। আর শেষ দিকে ব্যবধান গড়ে দেন জুড বেলিংহ্যাম।
ম্যাচের শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল বার্সেলোনা। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। কর্নারে উড়ে আসা বল দূরের পোস্টে পেয়ে অনেকটা লাফিয়ে হেডে দলকে এগিয়ে নেন ডেনমার্কের ডিফেন্ডার ক্রিস্টেনসেন। দুই মিনিট পর ভালো সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি রিয়াল।
রিয়াল সমতায় ফেরে ম্যাচের সপ্তদশ মিনিটে। ডান দিক দিয়ে বার্সেলোনার বক্সে ঢুকে পড়েন ভাসকেস। পাউ কুবারসিকে ফাঁকি দিয়ে আগাতে গিয়ে পায়ে লেগে তিনি পড়ে গেলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে দলকে সমতায় ফেরান ভিনিসিউস।
গোল খেয়ে পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে বার্সেলোনা। তাতে ২৮তম মিনিটে গোল পেয়েও গিয়েছিল তারা। রাফিনিয়ার ক্রস ছয় গজ বক্সে পেয়ে বাঁ পায়ের স্পর্শে ঠেলে দেন ইয়ামাল। কিন্তু কোনোমতে গোললাইনে তা ঠেকিয়ে দেন লুনিন। বার্সেলোনা আবেদন করে, বল গোললাইন পেরিয়ে গেছে। তবে ভিএআরে প্রমাণ মেলেনি।
দ্বিতীয়ার্ধেও একইভাবে চলতে থাকে লড়াই, দুই পাশেই সমানতালে হতে থাকে আক্রমণ। তাতে ৬৯তম ম্যাচে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। বাঁ দিক থেকে ইয়ামালের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট লুনিন ঝাঁপিয়ে ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি, আলগা বল পেয়ে সহজেই জালে পাঠান লোপেস।
বার্সেলোনা অবশ্য ব্যবধান ধরে রাখতে পারেনি। ৭৩তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে ভিনিসিউসের বাড়ানো বল বক্সে ফাঁকায় পেয়ে জোরাল হাফ ভলিতে আবারও রিয়ালকে সমতায় ফেরান ভাসকেস। এরপর যোগ করা সময়ে দলকে জয়ের উচ্ছাসে ভাসান বেলিংহ্যাম। জোসেলুর বলে কোনাকুনি শটে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান এই ইংলিশ তরুণ।
এই জয়ে ৩২ ম্যাচে ২৫ জয় ও ৬ ড্রয়ে রিয়ালের পয়েন্ট হলো ৮১। সমান ম্যাচে ২১ জয় ও ৭ ড্রয়ে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে বার্সেলোনা। তৃতীয় স্থানে থাকা জিরোনার পয়েন্ট ৬৮।