নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে চলমান প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইসতিসকার বা বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় করে দুই হাত তুলে কাঁদলেন মুসল্লিরা।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালের দিকে ঢাকার ধামরাইয়ের শরিফবাগ কামিল ইসলামিয়া মাদ্রসার মাঠে খোলা আকাশের নিচে এ নামাজ আদায় করা হয়। নামাজে ইমামতি ও খুৎবা প্রদান করেন অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শাইখ ড. ফয়জুল আমিন সরকার মাদানী।
নামাজে কৃষক শ্রমিক মেহনতী মানুষসহ সকল শ্রেণি পেশার প্রায় দেড় হাজার মুসল্লি বৃষ্টির জন্য ইসতিসকারের এই নামাজ আদায় করেন। ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা নামাজে দাঁড়িয়ে বৃষ্টির জন্য কান্নাকাটি করেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোকজনের সাথে অত্র মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও ওই নামাজে অংশগ্রহণ করেন।
নামাজ শুরুর আগে মুসল্লিদের সব নিয়মকানুন শিখিয়ে দেন ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ ফয়জুল আমিন সরকার মাদানী। পরে নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তি ও প্রচন্ড দাবদাহ থেকে বাঁচার জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিরা বলেন, ‘গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়তেই থাকে। এতে শিশু ও বয়স্কদের জন্য অনেক কষ্টের বিষয়। প্রচন্ড গরমে নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ আর । কৃষকের জমির ফসলের জন্য এখন বৃষ্টি খুবই প্রয়োজন। এ জন্য আমরা মহান আল্লাহর দরবারে একটু প্রশান্তির জন্য সকলকে নিয়ে এই দোয়া করা হয়। যেকোনো বিপদ থেকে রক্ষা পেতে আমরা প্রথমেই সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করি। এ নামাজ ও দোয়ার মধ্য দিয়ে সেই কাজ করা হলো। সৃষ্টিকর্তা রহমত বর্ষণ করবেন বলে আশা করছি।
ড. মোহাম্মদ ফয়জুল আমিন সরকার মাদানী বলেন, ধামরাই ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম থেকে মুসল্লিরা আজ সালাতুল ইসতিসকার অর্থাৎ বৃষ্টির জন্য বিশেষ এই নামাজে অংশগ্রহণ করেছেন। আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চেয়েছি। তিনি যেন আমাদের সকলের গুনাহ ক্ষমা করে দিয়ে আমাদের মাঝে প্রশান্তির বৃষ্টি প্রদান করেন। দেশবাসী বৃষ্টি জন্য যে কষ্ট করছেন, সেটি যেন বৃষ্টি দিয়ে আল্লাহ লাঘব করে দেন, এই দোয়া করেছি। ইনশাল্লাহ, আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করে বৃষ্টি দিয়ে এই কষ্ট থেকে মুক্তি দেবেন।
এম হাসান