মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, ঈদুল আজহার জন্য দেশে কোরবানিরযোগ্য ১ কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশু মজুদ রয়েছে, যা গতবারের চেয়ে ৫ লাখ বেশি।
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কোরবানি ঈদে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি, যাতে আমাদের গবাদি পশুর বাজার স্থিতিশীল থাকে। পশু যাতে আমাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, তা নিয়ে খামারিদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের আশ্বস্ত করেছি, তারাও আমাদের আশ্বস্ত করেছে। এ বছর গবাদি পশু আমদানির প্রয়োজন নেই। আমাদের দেশীয় উৎপাদিত যে গবাদিপশু খামারিরা লালন-পালন করেন, সেটাই যথেষ্ট। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা ঠিক আছে।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, কোরবানির ঈদে বাজার যাতে কেউ অস্থিতিশীল করতে না পারে, সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমরা আগামী কোরবানির ঈদ আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করতে পারব। সে আনন্দ প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে থাকবে, সেটাই প্রত্যাশা করি। গতবার আমাদের এক কোটি ২৫ লাখ গবাদিপশু বাজারে ছিল। কিন্তু অবিক্রিত ছিল ১৯ লাখ। এবার এক কোটি ৩০ লাখের বেশি সংখ্যক পশু সরবরাহের আয়োজন রাখা হয়েছে।
আব্দুর রহমান বলেন, কোরবানির জন্য গরু আমদানির কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত সরকারের নেই। অবৈধভাবে কোনো গরু যেন দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, এবার কোরবানিতে গবাদিপশুর কোনো ঘাটতি থাকবে না। এজন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বাজার যেন স্থিতিশীল থাকে এবং পাশাপাশি পশুর দাম যেন মানুষের নাগালের মধ্যে থাকে সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
এ সময় ফরিদপুরের মধুখালীতে ২ নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার বিষয়েও কথা বলেছেন স্থানীয় এই সংসদ সদস্য। তিনি বলেন, মন্দিরে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২ নির্মাণ শ্রমিককে হত্যায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩১ জনের বিরুদ্ধে ৩টি মামলাও হয়েছে। আবেগে গা না ভাসিয়ে যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তারে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই ফলাফল পাওয়া যাবে।