দেওয়ান সাদমান শাওন, স্টাফ রিপোর্টার :
মানিকগঞ্জে বনফুল এন্ড কোং এর স্যান্ডউইচ খেয়ে শিক্ষক,ডাক্তার ও শিশু সহ অসুস্থ প্রায় অর্ধশতাধিক।
গত ৮ই মে বুধবার মানিকগঞ্জে এই ঘটনা ঘটে।
শহরের পোড়রা সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের একটি ট্রেনিং এ সকালের নাস্তা হিসেবে বনফুল থেকে স্যান্ডউইচ নেন তারা। সেই স্যান্ডউইচ খাবার পরে থেকেই পেট ব্যাথা, ডায়রিয়া,বমি সহ নানাবিধ ফুড পয়জনিং সমস্যা নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে, অনেকে মুন্নু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি।এর মাঝে গুরুতর অবস্থায় কয়েকজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
অই একইদিন কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর ৫জন চিকিৎসকও একই স্যান্ডউইচ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ভুক্তভোগী ৮৮নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বজলুর রহমান জানান,আমাদের ৫দিনের ট্রেনিং এর শেষদিন আমরা বনফুল থেকে স্যান্ডউইচ এনে নাস্তা করি।এর পর বিকেল থেকে প্রচন্ড পেট ব্যাথা এবং পাতলা পায়খানা শুরু হয়।পরে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মানুষের জীবনের কথা চিন্তা না করে ব্যবসার জন্য এমন বিসাক্ত খাবার আমাদের কাছে বিক্রী করলো। আমরা মরেও যাইতে পারি। প্রশাসনের কাছে বিচার দাবী করেন।
ভুক্তভোগী ডালিয়া নামের এক শিক্ষিকা জানায়,নামি ব্যান্ড দেখে আমরা সেখান থেকে নাস্তা নেওয়ার কথা বলি।কিন্তু তাদের খাবার খেয়ে এমন অবস্থা আমাদের তাহলে কাদের উপর ভরসা করব।
ভুক্তভোগী আরেক শিক্ষিকা মাসুদা আক্তার জানান ,আমি আমার মেয়ের জন্য একটি স্যান্ডউইচ অর্ডার দিয়ে বাসায় নিয়ে যায়।খাবার পরে থেকে আমি এবং আমার মেয়ে দুই জনই বমি,ডায়রিয়া,মাথা ব্যাথা সহ নানা সমস্যায় পরি।গত শুক্রবার আমার মেয়েকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এবিষয়ে বনফুল এন্ড কোং মানিকগঞ্জ শাখার ম্যানেজার আমাদের জানান,গত ১০বছর যাবত আমরা মানিকগঞ্জে সুনাম এর সাথে ব্যাবসা করে আসছি।বিভিন্ন সরকারি,বেসরকারি প্রোগ্রামে আমরা খাবার সাপ্লাই দিয়ে থাকি কিন্তু এমন কখনো হয় নাই।আমি আমার উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তারাও বিষয়টি দেখছে।
এবিষয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর এর পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল দৈনিক আমার নিউজ কে বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তের মাধ্যমে দোষী প্রমানিত হলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।