‘বিশ্বকাপের দল ঘোষণা কবে?’ বিশ্বকাপের বিমানে উঠার অপেক্ষায় থাকা এক ক্রিকেটারও জানতে চাইলেন বাংলাদেশের বিশ্বকাপের দল ঘোষণা আসলেও কবে?
আইসিসির বেঁধে দেওয়া সূচি অনুযায়ী, পহেলা মে’র মধ্যে বিশ্বকাপের ১৫ জনের স্কোয়াড ঘোষণা করতে হতো। অন্যান্য দলগুলোর মতো বিসিবিও নির্ধারিত সময়ে দল বাছাই করে আইসিসির কাছে পাঠিয়েছে। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। কেন?
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে কয়েকজন ক্রিকেটারকে বাজিয়ে দেখার সুযোগ। আইসিসি ১৫ জনের স্কোয়াড পহেলা মে’র মধ্যে নিয়ে নিলেও সুযোগ দিয়েছে ২৫ মে’র মধ্যে স্কোয়াডে পরিবর্তন করা যাবে কোন কারণ ছাড়াই। সেই সুযোগটিই নিয়েছে বাংলাদেশ।
শুধু বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও এখনও দল ঘোষণা করেনি। সবশেষ নেদারল্যান্ডস সোমবার বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বিশ্বকাপের স্বপ্ন সারথি কারা তা জানা যাবে মঙ্গলবার। ১৫ মে বিশ্বকাপের বিমানে কারা উঠবেন তা নিশ্চিত হয়েই আছে।
এখন শুধু একটি নামেরই অপেক্ষা, তাসকিন আহমেদ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি খেলার সময় পাঁজরে চোট পান ডানহাতি পেসার। গতকাল তাকে শেষ ম্যাচে খেলানো হয়নি। দল যখন মাঠে খেলছিল তখন তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে স্ক্যান করাতে। সেই স্ক্যানের রিপোর্ট দেখেই তাকে বিশ্বকাপে খেলানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বোর্ড।
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে হিউস্টনে তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে। এরই মধ্যে সেই সিরিজ থেকে তাসকিনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তাসকিনের যে চোট তা সারতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ প্রয়োজন। পুনর্বাসন ভালো হলে সময় আরও কম লাগবে। বিসিবি তাসকিনকে নিয়ে সেই ঝুঁকি নেবে কিনা সেটাই দেখার।
তাসকিন অবশ্য সবকিছু ভাগ্যের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন, ‘এখনও বলা যাচ্ছে না (বিশ্বকাপ খেলবেন কিনা)। ফিফটি-ফিফটি। সব কিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ। আমি সব কিছুর জন্য ভাগ্যবান।’
তাসকিনের বিকল্প হিসেবে হাসান মাহমুদকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আজ মিরপুরে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামসের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় বসেছিলেন ডানহাতি পেসার।
যতটুকু জানা গেছে, তাকে নিয়েই বিশ্বকাপে উড়াল দেবে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। হাসান মাহমুদ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে ছিলেন না। তবে চট্টগ্রামে ১৭ জনের ক্যাম্পে ছিলেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ দুই টি-টোয়েন্টির যে স্কোয়াড সেখান থেকে তেমন পরিবর্তনের পরিকল্পনা নেই। তাসকিন যদি শেষ পর্যন্ত বাদ পড়েন তাহলে হাসান মাহমুদ ঢুকবেন। আর তাসকিন ও হাসান দুজনই থাকলে কপাল পুড়বে তানজিম হাসান সাকিবের।
এছাড়া তানভীর ইসলামের জায়গায় ঢুকবেন শেষ দুই ম্যাচে বিশ্রামে থাকা শরিফুল ইসলাম। শেখ মাহেদীর সঙ্গে আছেন রিশাদ হোসেন। মাহেদী ও রিশাদ টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছেন। সাকিব থাকায় বাঁহাতি স্পিনারের অভাব পূরণ হয়। সেক্ষেত্রে তানভীরের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এছাড়া বাকি স্কোয়াডে পরিবর্তনের সম্ভবনা নেই বললেই চলে।
বাংলাদেশ বিশ্বকাপ স্কোয়াড (সাম্ভাব্য):
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাশ, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, সৌম্য সরকার, শরিফুল ইসলাম ও সাইফ উদ্দিন।