দেওয়ান সাদমান ইসলাম শাওন,স্টাফ রিপোর্টার
ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবেলায় নানা দিক নির্দেশনা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।দেশের নয়টি জেলায় ১০ নম্বর ও সাতটি জেলায় ৯ নং মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। রোববার (২৬ মে) ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আবহাওয়া অধিদফতর। এছাড়াও, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে মাছ ধরার নৌকাগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। এছাড়া, ৯ নম্বর মহা বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। রাতে গতি কমে যাওয়ায় দুপুরের পর থেকে এর প্রভাব শুরু হবে। ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হবে উপকূলীয় অঞ্চলে। আর মধ্যরাতে মূল অংশ আঘাত হানবে পটুয়াখালীতে।
এসময়, কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ৯০ কিলোমিটার। উপকূলে আঘাত হানলে, ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিবেগ থাকতে পারে বাতাসের। এছাড়া প্রচুর ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এর ফলে রয়েছে পাহাড় ধসের সম্ভাবনাও।
রিমাল মোকাবেলায় ইতোমধ্যে ৪০০০ নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
যেহেতু মধ্যরাতে উপকূল অতিক্রম করবে রিমাল আবার সেটি জোয়ারের সময়, তাই ১০ ফুট জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার।