ভিসা পেয়েও বিমানের টিকিটসহ নানা জটিলতায় প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশি প্রবাসী মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারেনি। তাদের কলিং ভিসার আওতায় মালয়েশিয়ার নেওয়ার বিষয়ে দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস কাজ করবে।
শুক্রবার (৩১ মে) রাতে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর পরিদর্শনকালে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান এই তথ্য জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, যারা ভিসা পেয়ে মালয়েশিয়ায় আসতে পারেনি, তাদের নিয়ে আসার ব্যাপারে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে, যেন তাদের দ্রুত নিয়ে আসা যায়।
তিনি আরও বলেন, পাঁচ লাখ ২৭ হাজারের বেশি ডিমান্ড লেটার সত্যায়ন করেছি। এ পর্যন্ত চার লাখ ৭২ হাজারের বেশি কর্মী মালয়েশিয়াতে এসেছে। আমরা নিয়োগ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, তারা যেন এসে এখানে কাজ পান।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) কলিং ভিসায় ঢাকা থেকে সর্বশেষ ফ্লাইট ছেড়ে যায়। দেশটির সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকালই দেশটিতে কর্মীদের যাওয়ার শেষ সুযোগ ছিল।
বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, গত ২১ মে পর্যন্ত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ৫ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৪ জন কর্মীকে মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন দেয়। ২১ মের পর আর অনুমোদন দেওয়ার কথা না থাকলেও বিএমইটির তথ্য বলছে, মন্ত্রণালয় আরও ১ হাজার ১১২ জন কর্মীকে দেশটিতে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫ লাখ ২৪ হাজার ৯৪৬ জন কর্মীকে মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে শুক্রবার পর্যন্ত দেশটিতে ৪ লাখ ৯১ হাজার ৭৪৫ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় গেছেন।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তথ্য বলছে, শুক্রবার নন-শিডিউল ৭টি ফ্লাইটে ২ হাজার ২০৮ জন, শিডিউল ৭টি ফ্লাইটে ১ হাজার ৮৮৮ জন এবং ট্রানজিট ফ্লাইটে ১৭৯ জন মালয়েশিয়ায় যেতে পারেন। বাকি ৩০ হাজারের বেশি কর্মীর যাত্রা বাতিল হয়ে যায়।