দেওয়ান সাদমান ইসলাম শাওন, স্টাফ রিপোর্টার।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ মানেই নাটকীয়তা।এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরি করে বাংলাদেশ।সব নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত সিংহদের পরাজিত করে জয় তুলে নিতে সক্ষম হয় টাইগাররা।
মাত্র ১২৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে যে পরিমাণ নাটকীয়তা হয়েছে সেটা বোধহয় কেউ কল্পনাও করেননি। খুব সহজ টার্গেট ভাবলেও লঙ্কানদের হাত থেকে জয় ছিনিয়ে আনতে বেশ ভুগতে হয়েছে টাইগার ব্যাটারদের। তবে, শেষ পর্যন্ত সেই বুড়ো মাহমুদউল্লাহ-ই ভরসা। তার হাত ধরেই শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে টাইগাররা।
তবে, এই ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক নির্দিষ্ট করে কাউকেই বলা যাবে না। কারণ, বল হাতে শুরুতে আঘাত হেনেছেন তাসকিন। এরপর মোস্তাফিজের জোড়া আঘাতের পরে সবার নজর নিজের দিকে নিয়েছেন রিশাদ। টপাটক দুই বলে ২ উইকেট নেয়া রিশাদ মোট নিয়েছেন ৩ উইকেট। ফিজ আর তার কল্যাণেই এত অল্প রানে আটকা পরে লঙ্কান সিংহরা।
আবার ব্যাটিংয়ে নেমে হৃদয়ের টানা তিন ছক্কাকেও ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বরং বলা চলে, হৃদয়ের ওই তিন ছক্কাই বাংলাদেশকে পৌঁছে দিয়েছিল জয়ের দ্বারপ্রান্তে। অন্যান্য ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মাঝে সবশেষে আবার সেই মাহমুদউল্লাহ-ই ত্রাতা হয়েছেন বাংলাদেশের। হারের শঙ্কা যখন উঁকি দিচ্ছে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমে, তখনই ছক্কা হাঁকিয়ে লঙ্কান সমর্থকদের উল্লাস থামিয়েছেন এই অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
এদিন টস জিতে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে পাঠায় লঙ্কানদের। তারা করে মাত্র ১২৪ রান। ১২৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতেই হোচট খায় টাইগাররা। ৩০ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা।
ইনিংসের তৃতীয় বলেই ধনাঞ্জয়াকে অহেতুক শট খেলতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ তুলে দেন ওপেনার সৌম্য। ক্যাচ নিয়েই বুনো উল্লাসে মেতে ওঠেন হাসারাঙ্গা। তিন বলে শূন্য করে বিদায় নেন তিনি। বাংলাদেশ দলীয় ১ রানে হারায় প্রথম উইকেট।
এরপর ক্রিজে তানজীদের সঙ্গী হয় লিটন। দ্বিতীয় ওভারে আবারও আঘাত হানে নুয়ান থুসারা। এবার সোজা বোল্ড হয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। করেন ৬ বলে ৩।
এরপর টাইগার অধিনায়ককে নিয়ে দেখেশুনে খেলার চেষ্টা করছিলেন লিটন দাস। তবে, পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে আবারও নুয়ান থুসারার আঘাত। এবার তার শিকার বাংলাদেশ অধিনায়ক। ড্রাইভ করতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন শান্ত। খুব সহজেই ক্যাচটি লুফে নেন আসালাঙ্কা। ১৩ বলে ৭ রানেই শান্ত হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়ে শান্তকে।
পরিশেষে ২উইকেট এবং ৬বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌছে যায় বাংলাদেশ