স্টাফ রিপোর্টারঃ
স্থাপত্যে বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার রিবা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স-২০২৪ পেয়েছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ‘স্থাপতিক’। মানিকগঞ্জে শাহ মোহাম্মদ মহসীন খান দরগাহ বা সমাধি তৈরির জন্য এ পুরস্কার পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার স্থপতি মো. শরীফ উদ্দিন আহমেদ ওই সমাধির নকশা করেছেন।
গত ১২ জুন বুধবার রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ব্রিটিশ আর্কিটেক্টস (রিবা) এই দফায় পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেছে। তিন বছর পরপর বিশ্বের বিশিষ্ট স্থাপত্যকর্মের জন্য রিবা এ পুরস্কার দিয়ে থাকে। এবার বিশ্বের মোট ২২টি প্রতিষ্ঠান এ পুরস্কার পেয়েছে।
বাংলাদেশের স্থাপতিক এবং রংপুরে কারুপণ্যের সবুজ কারখানার জন্য ‘নকশাবিদ আর্কিটেক্টস’ প্রতিষ্ঠান দুটি এবার এ পুরস্কার পেয়েছে।
স্থপতি মো. শরীফ উদ্দিন আহমেদ জানান, পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাট দিয়ে ব্যাগ তৈরি করা বিজ্ঞানী ও গবেষক মোবারক আহমদ খান তার বাবা মুহম্মদ মুহসিন খানের সমাধি তৈরির জন্য তিনি এবার এ পুরস্কার পেয়েছেন। মানিকগঞ্জে মুহম্মদ মুহসিন খান ছিলেন একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তিনি পীর ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর পারিবারিকভাবে মানিকগঞ্জে এ স্থাপনা তৈরি করা হয়। মানিকগঞ্জের শিববাড়ী–হিজুলী এলাকায় ২০২২ সালে স্থাপনাটি তৈরির কাজ শেষ হয়। এখানেই মুহম্মদ মুহসিন খান, তাঁর স্ত্রী বেগম নূরজাহান ও বাবা মো. ইসমাইল খানের কবর আছে
স্থপতি মো. শরীফ উদ্দিন আহমেদ জানান, যে ২২টি প্রতিষ্ঠান এবার রিবা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স-২০২৪ পেয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আরেকটি প্রতিযোগিতা হবে নভেম্বর মাসে। সেখানে একটি প্রতিষ্ঠানকে সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হবে।
স্থাপনাটির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এই স্থপতি বলেন, সুলতানি আমলের ষাট গম্বুজ মসজিদের স্থাপত্যশৈলী থেকে উৎসাহিত হয়ে এটির নকশা করা হয়েছে। আকাশ থেকে সরাসরি সূর্যের আলো, চাঁদের আলো যাতে স্থাপনার ভেতর ঢুকতে পারে, তা গুরুত্ব পেয়েছে স্থাপনাটিতে। পলিমাটি দিয়ে তৈরি ইট এবং স্থাপনার আশপাশ থেকেই স্থাপত্য উপাদান সংগ্রহ করা হয়েছে।
শাহ মোহাম্মদ মহসীন খান সমাধি প্রকল্পের জন্য এর আগে ২০২৩ সালে ইউনিয়ন অব ইন্টারন্যাশনাল আর্কিটেক্টসের ফ্রেন্ডলি অ্যান্ড ইনক্লুসিভ স্পেস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। এ ছাড়া এ প্রকল্পের জন্য মর্যাদাপূর্ণ এরিখ মেন্ডেলসন অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতায় ব্রিক আর্কিটেকচার ক্যাটাগরিতে মনোনীত হয়েছিলেন।