স্টাফ রিপোর্টার :
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় এক আইনজীবীর বসতবাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আইনজীবীসহ তাঁর পরিবারের নারী ও শিশুসহ অন্তত সাতজন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। গত সোমবার (ঈদের দিন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বেউথা এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গত বুধবার ভূক্তভোগী মানিকগঞ্জ জজআদালতের আইনজীবী মুরাদ হোসেন বাদি হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪০ থেকে ৫০ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।
সদর থানা-পুলিশ, লিখিত অভিযোগ এবং ভূক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন লোহার রড. চাপাতি ধারালো দা ও হাতুরি নিয়ে বেউথা এলাকায় আইনজীবী মুরাদ হোসেনের বাড়িতে হামলা করেন। পৌর শ্রমিক লীগের আহবায়ক হাসমত আলীর নেতৃত্বে ও হুকুমে সুজন মিয়া, নান্টু মিয়া, আমজাদ হোসেন, আবদু রহমান, আশিক হোসেন, আল আমিন, রাকিব হোসেন, সবিজ মিয়া ও জিসান মিয়াসহ অজ্ঞাত আরও ৪০ থেকে ৪৫ জন এই হামলা করেন। হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আইনজীবী মুরাদ হোসেন, তাঁর দুই ভাতিজা মুসাব্বির রহমান, আমানুর রহমান, মা মনোয়ারা বেগম, স্ত্রী শাহিনুর আক্তার, শিশুসন্তান মুরছালিন ও ভাতিজার স্ত্রী লিজা আক্তার মারাত্মক আহত হন। হামলার সময় ওই বাড়িতে আলমারি থেকে থাকা ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা এবং নারীদের গলায়, হাতে ও কানে থাকা ৫ ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। পরে আহত ব্যক্তিদের ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা এ বিষয়ে মামলা করলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হামলা গুরুতর আহত আইনজীবীর দুই ভাতিজাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যদের জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হামলার দিন গত সোমবার রাত ১১টার দিকে গিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দিতে দেখা যায়। গত বুধবার দুপুরে হাসপাতারে গিয়ে আহত অপর পাঁচজনকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেখা গেছে। এ সময় আইনজীবী মুরাদ হোসেন বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাঁদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত শাস্তির দাবি জানান।
এ ব্যাপারে পৌর শ্রমিক লীগের নেতা হাসমত আলী বলেন, ওই আইনজীবীর দুই ভাতিজার অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। এ কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এই হামলার সঙ্গে তিনি জড়িত নন বলে তিনি দাবি করেন।
সদর থানার ওসি হাবিল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।