স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঈদুল আযহার দিনগত রাতে মানিকগঞ্জে এ্যাডভোকেট মুরাদ হোসেনসহ তার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ এবং হামলাকরীদের প্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী।
আজ বুধবার (২৬ জুন) সকালে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর আয়োজনে বেউথা কড়ইতলায় মানববন্ধন পালিত হয়। এর আগে হামলা ও লুটতরাজকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বেউথা- খালপাড় সড়কে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
আব্দুস সোবহান মৃদার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আহত মুরাদ হোসেন তার মা মনোয়ারা বেগম , বড় ভাই মিজানুর রহমান, স্থানীয় কামাল হোসেনসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
এ ঘটনায় বুধবার ভূক্তভোগী মানিকগঞ্জ জজ আদালতের আইনজীবী মুরাদ হোসেন বাদি হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪০ থেকে ৫০ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে।
এসময় তারা বলেন মামলার আসামীরা চিহ্নিত মাদক কারবারী, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী। এরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
মামলা ও স্থা্নীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন লোহার রড. চাপাতি ধারালো দা ও হাতুরি নিয়ে বেউথা এলাকায় আইনজীবী মুরাদ হোসেনের বাড়িতে হামলা করেন। পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি হাসমত আলীর নেতৃত্বে ও হুকুমে সুজন মিয়া, নান্টু মিয়া, আমজাদ হোসেন, আবদু রহমান, আশিক হোসেন, আল আমিন, রাকিব হোসেন, সবিজ মিয়া ও জিসান মিয়াসহ অজ্ঞাত আরও ৪০ থেকে ৪৫ জন এই হামলা করেন। হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আইনজীবী মুরাদ হোসেন, তাঁর দুই ভাতিজা মুসাব্বির রহমান, আমানুর রহমান, মা মনোয়ারা বেগম, স্ত্রী শাহিনুর আক্তার, শিশুসন্তান মুরছালিন ও ভাতিজার স্ত্রী লিজা আক্তার মারাত্মক আহত হন। হামলার সময় ওই বাড়িতে আলমারি থেকে থাকা ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা এবং নারীদের গলায়, হাতে ও কানে থাকা ৫ ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। পরে আহত ব্যক্তিদের ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা এ বিষয়ে মামলা করলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান।
সদর থানার ওসি হাবিল হোসেন বলেন, ‘ঘটনার পর অভিযুক্তরা পালিয়েছে। একারণে তাদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে, তাদের গ্রেফতারের জোড় চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’