মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ফারিরচর এলাকার প্রবাসীদের ও যুবসমাজের অর্থায়নে আড়াই কিলোমিটারের বেশি কাঁচা রাস্তা সংস্কার করছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার(৪ অক্টোবর) বেলা ১০ টার দিকে উপজেলার আটিগ্রামের ইউনিয়নের নারিকুলি-ফারিরচর মোড়ে এলাকায় রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করেন এলাকাবাসী।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আটিগ্রামে ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হলেও রাজনগর নতুন বাজার থেকে নারিকুলি, ফারির চর, মাছুরি, কুশনাইকান্ডি, মাধবপুর বাজার, বারতা গ্রামসহ বেশি কিছু এলাকায় উন্নয়নের ছোয়া তেমন লাগেনি। ফলে এসব এলাকার রাস্তাঘাটসহ মানুষের জীবন মানেরও পরিবর্তন তেমন হয়নি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদসদের দ্বারা সরকারিভাবে নামমাত্র কাজ হয়ে ানা স্থানীয়রা।
স্থানীয় কৃষক আব্দুর রউফ বলেন, ‘রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ, বৃষ্টি হলে চলাচল করাই যায় না। এলাকার অনেক মানুষ কৃষি কাজ করে চলে। রাস্তা খারাপ থাকায় শাক-সবজিসহ কৃষি পণ্য হাটবাজরের নিতে অনেক অসুবিধা হয়। অটোবাইক ভাড়াও বেশি লাগে। তয় এলাকার প্রবাসী আর যুবসামজের ছেলেপেলেরা নিজেরা টাকা দিয়ে রাস্তা ঠিক করতাছে। আমাগো অনেক উপকার হইবো’।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল হামিদ ফরাজি বলেন, ‘নারিকুলি হয়ে ফারির চর ও সিংগাইর উপজেলায় যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। প্রতিদিন চরের ছয় থেকে সাতটি গ্রামের প্রায় ১৬ হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। তবে মাটির কাচা রাস্তার উন্নয়ন না হওয়ায় যাতায়াতকারী এসব মানুষের ভোগান্তি চরমে’।
নূর মোহাম্মদ নুরু বলেন, বৃষ্টি হলেই কাঁচা রাস্তায় পানি জমে কাদার সৃষ্টি হয়। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের চলাচলের চরম ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এ ছাড়া অটোবাইক, মোটরসাইকেল, ভ্যানসহ অন্যান্য যানবাহন গুলোকেও ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। এজন্য এলাকার জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে আমাদের গ্রামের প্রবাসী ও যুবসমাজের অর্থায়নের আমরা এই রাস্তার প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করছি।
ফারুক মিয়া বলেন, সরকারীভাবে কাঁচা রাস্তার সংস্কার না হওয়ায় ওই এলাকার প্রবাসী, যুবসমাজ এবং গ্রামবাসীর অর্থায়নে রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাচা রাস্তা স ্থানে কাদা সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়েছে, সেসব স্থানের ২০ ট্রাকের বেশি ইট ও শুরকি ফেলা হচ্ছে। যাতে এলাকার জনসাধারণ অন্তত পায়ে হেটে চলাচল করতে পারে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) লিটন ঢালী বলেন, স্থানীয়দের নিজ উদ্যোগে জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে মাটির কাঁচা রাস্তার সংস্কার কাজটি খুবই ভালো ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে আগামী অর্থবছরে ওই এলাকার কাঁচা রাস্তাটিতে ইট সলিং করার জন্য দ্রুতই বরাদ্দ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।