স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি পরিত্যাক্ত বাড়ির বারান্দায় খুন হওয়া জহুরা হত্যা মামলার আসামী আঃ ছালাম (৫০) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ৪ এর একটি টিম।
সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে মানিকগঞ্জ র্যাব-৪, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তার আসামী ছালাম মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া এলাকার কিতাব আলীর ছেলে।
র্যাব-৪ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ছালাম একজন সবজী বিক্রেতা। প্রায় ৯ বছর পূর্বে ভিকটিম জহুরা বেগম (৪৭) পারিবারিক ও আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারনে স্বামী নান্নু মিয়ার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে ভিকটিম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিভিন্ন চায়ের দোকান ও হোটেলে কাজ করে জীবিকা ্ব করে আসিল। ভিকটিম জহুরা বেগম সবজী ক্রয় করতে গিয়ে ছালামের সাথে পরিচয় হয়।
পরিচয়ের একপর্যায়ে তারা উভয়ের মধ্যে মোবাইল নম্বর আদান প্রদানের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং একপর্যায়ে তারা অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। উক্ত সম্পর্কের কথা ভিকটিম বিবাদীর পরিবারের নিকট বলে দেবে মর্মে হুমকি দিয়ে ভিকটিম বিবাদীর নিকট হতে প্রায়শই টাকা আদায় করে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে ২ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে ভিকটিম বিবাদীকে ফোন করে বিবাদীর নিকট টাকা দাবী করে মানিকগঞ্জ বাস্ট্যান্ডের পানি উন্নয়ন বোর্ডের পূর্বপাড়ে পরিত্যক্ত রুমে দেখা করতে বলে।
বিবাদী ভিকটিমকে ফোন করে উল্লেখিত স্থানে দেখা করে টাকা দেওয়ার কথা বলে উল্লেখিত স্থানে দেখা করে ভিকটিমের সাথে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করার একপর্যায়ে ধস্তাধস্তিতে ভিকটিম অচেতন হয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় যে বিবাদী ভিকটিমের সাথে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন কালে ধস্তাধস্তিতে ভিকটিম মৃত্যুবরণ করে।
উক্ত ঘটনা থেকে বিবাদী নিজেকে আড়াল করার জন্য ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে ভিকটিমকে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। অতঃপর ৫ই সেপ্টেম্বর দুপুরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে মৃতদেহটি দেখতে পেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতপূর্বক মৃতদেহ মর্গে প্রেরণ করে।
উক্ত ঘটনার রহস্য উদঘাটনে র্যাব-৪, সিপিসি-৩, মানিকগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল তথ্য-প্রযুক্তি ও ঘটনাস্থলে থাকা পারিপার্শ্বিক আলামত এবং তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত ঘটনার রহস্য উদঘাটন পূর্বক ঘটনার সাথে জড়িত অিযুক্ত াম’কে গ্রেফার ও ভিকটিমের মোবাইল উদ্ধারপূর্বক মানিকগঞ্জ পৌরসভাধীন জাগীর এলাকা হতে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে গ্রেপ্তার হওয়া আসামীকে মানিকগঞ্জ সদর থানায় সোর্পদ করা হয়।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম আমান উল্লাহ বলেন, জহুরা বেগমের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ওই আসামীকে গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান ওসি আমান উল্লাহ।