স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতাল ও দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা। আহতদের মধ্যে মামুনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলার কলিয়া ইউনিয়নের পাঁচথুবি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে চারজন, ও দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচজন ভর্তি রয়েছে।
আহতদের মধ্যে রয়েছে বাবুল, মামুন, জসিম, শাহ আলম, নূরি আক্তার, রোকেয়া, বিপাশা। বাকীদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষনিকভাবে পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পোল্ট্রিফার্মকে কেন্দ্র করে উপজেলার পাঁচথুবি গ্রামের োল মাষ্টারের পরিবারের সঙ্গে বাবুলের পরিবারের পূর্ব বিরোধ রয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এই মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
এ ঘটনায় আহত বাবুল হোসেন বলেন, তাদের বাড়ীর পাশে ক্ষমতার দাপটে পোল্ট্রি মুরগীর ফার্ম করে তোফাজ্জল মাষ্টার। বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েও এই ফার্ম বন্ধ করা যায়নি। এই ঘটনার জের ধরে তোফাজ্জল মাষ্টারের লোকজন হামলা করলে তাদের পক্ষের দেশীয় অস্ত্র ও ছ্যান দা’য়ের কুপে নারীসহ ১০ জন আহত হয়।
কলিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য রিপন মিয়া বলেন, পোল্ট্রি ফার্ম নিয়ে তোফাজ্জল মাষ্টার ও বাবুলের পরিবারের পুরানো বিরোধ রয়েছে। তবে আজকের মারামারির সঠিক কারণ বলতে পারেননি তিনি। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের বেশ কিছু লোক আহত হয়েছে বলে জানান তিনি।
দৌলতপুর থানার এস.আই হাফিজুর রহমান বলেন, সকালে তোফাজ্জল মাষ্টারের আত্মীয় আনোয়ারের ঘরে ১ম দফায় মারামারি হয়। সেখানে আনোয়ারের ঘরে বাবুলকে মারধর করে তোফাজ্জল মাষ্টারের পক্ষের লোকজন। পরে এই খবর পেয়ে বাবুলের পরিবারের লোকজন ফের রাস্তায় মারামারি করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের বেশ কিছু লোকজন আহত হয়েছে। একজন গৃহিনী ও পোল্ট্রি ফার্মকে কেন্দ্র করে মারামারির এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তিনি।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিক আজম বলেন, মারামারির খবর পেয়ে থানা থেকে এস.আই পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।