স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জ শহরের বেউথা এলাকা থেকে আল আমিন (২৬) নামে পৌর শ্রমিকলীগের এক নেতাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। পরে ওই নেতাকে জেলা বিএনপি অফিস পুড়ানোর মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকে আদালতে পাঠায় সদর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার আল আমিন মানিকগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম দাশড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শহরের বেউথা এলাকার আব্দুল নামের এক ভাঙ্গারির দোকানে পুরাতন মালামাল বিক্রি করতে যায় আল আমিন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তাদেরকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ধাওয়া ও মারধর করার কারণে সেখানে তোপের মুখে পরে আল আমিন।
এসময় স্থানীয়রা তাকে গণধোলাই দিতে শুরু করলে কিছু লোক ল ন মারধর া করে পুলিশে দেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।
জেলা বিএনপি অফিস ভাঙচুর ও পোড়ানো মামলার বাদী অ্যাড. মুরাদ হোসেন বলেন, জেলা আওয়ামীলীগ ও শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীরা ৪ই আগষ্ট জেলা বিএনপি অফিস ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখানে পৌর শ্রমিকলীগের আহবায়ক হাসমত আলীসহ তার লোকজন জড়িত ছিলো। গ্রেপ্তার আল আমিন হাসমত আলীর প্রধান সহযোগী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। গ্রেপ্তার আল আমিনের সব্বোর্চ শাস্তির দাবি করেন তিনি।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) তানভীর হোসেন বলেন, জেলা বিএনপি অফিস পোড়ানোর দায়ে সদর থানায় একটি মামলা করেছেন মানিকগঞ্জ জজ কোর্টের আইনজীবী ও বিএনপি নেতা মুরাদ হোসেন। সেই মামলায় আল আমিন জড়িত রয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্য প্রমাণে পাওয়া গেছে। পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আল আমিনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তানভীর হোসেন।