স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জ পৌরসভার জয়নগর ৮ নং ওয়ার্ডের বাসীন্দা শংকর সূত্রধরের নামে ২৪ শতাংশ জায়গা জোর করে খারিজ করতে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। নবগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আঃ মজিদ ও ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আকবরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছে ভূক্তভোগী শংকর। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছে জমির প্রকৃত মালিক আঃ মান্নান।
জানা যায়, ২০১১ সালে সন্ধ্যা রাণীর রায়ের কাছ থেকে পাছ বারইল মৌজায় দুই দাগে ৯ ও ১৫ শতাংশ করে মোট ২৪ শতাংশ জমি কিনে নেয় আঃ মান্নান। জমির খাজনাও দিয়ে আসছিলেন মান্নান। তবে খারিজ করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে ওঠে তার। ২০১৫ সালে হওয়া খারিজ কিভাবে হলো জানে না জমিও চিনেনা শংকর। ১৯৭৩ সালের দলিল দিয়ে করা হয়েছে এই খারিজ যা শংকরের জন্মেরও আগে। সমাধান করতে উভয় একমত হয়ে যায় মিশকেশ করতে আসলে এতেও বাধে বিপত্তি। মজনু নামের আরেক ব্যক্তির নামে জোর করে লিখে দিতে বাধ্য করেছে সেই আঃ মজিদ ও আলী আকবর
ভূক্তভোগী মান্নান বলেন, আমি এই জমি কিনার পর খাজনা দিছি কিন্তু খারিজ করতে গিয়া দেখি অন্য লোকের নামে খারিজ হইয়া গেছে। এটা করছে নবগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আঃ মজিদ আর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আকবর। আমি এর সমাধান চাই আমার জমি আমার কাছে ফিরত আসুক।
এবিষয়ে শংকর সূত্রধর বলেন, কিভাবে এই জমি খারিজ হলো আমি কিছুই জানিনা। আমার কাছ থেকে মজনুর নামে জোর করে লিখে নিছে মজিদ ও আকবর। এই জমি আমার না আর আমি দাবিও করি না। এখন আমি চাই এটা মিমাংশা হোক।
মজনু বলেন, আমি এই জায়গা চিনিও না খাইও না। এটা করাইছে মজিদ। এর সঠিক বিচার হোক।