স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার হাতকোড়া চারিপাড়া গ্রামের শাহানাজ আক্তারের (২৯) স্বামী বিপ্লব হোসেন বিদেশে মারা যাওয়ার পর তাকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছে না তার শশুর সফি বিশ্বাস ও ভাসুর সবুজ। নিরুপায় হয়ে মাদরাসা পড়ুয়া মেয়ে তানহাকে (৭) নিয়ে ভাই বোনের সংসারে পড়ে আছেন অসহায় শাহানাজ।
জানা যায়, ২০১০ সালে পারিবারিক ভাবেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন বিপ্লব শাহানাজ দম্পতি। সুখে শান্তিতেই ছিলেন তারা। ২০২২ সালে হঠাৎ করে সউদি আরবে স্টোক করে মারা যান বিপ্লব হোসেন। তারপরেই শাহানাজের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। বের করে দেন শশুর বাড়ি থেকে। এখন বাড়িতে থাকা তো দূরের কথা এলাকায় আসতেও দিচ্ছে না তাকে। মেয়ের টিকা কার্ড ও নিজের আইডি কার্ডও রেখে দেন তারা। বিপ্লব মারা যাওয়ায় কোম্পানির দেওয়া পাঁচ লক্ষ টাকাও আত্মসাত বড় ভাই সবুজ। নিজের থাকার ঘর ছোট ভাই সোহেলকে দিয়ে বিল্ডিংয়ের তিন রুম ভাড়া দিয়ে দুই ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে নিজেই ওঠে পড়েন সেখানে। প্রায় সতের বছর বিদেশে জমানো টাকা দিয়ে তিন তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে ১২ শতাংশ জায়গার উপর বিল্ডিং করেছিলেন। পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকার দামি দামি আসবাবপত্রও কিনেছিলেন সৌখিন বিপ্লব হোসেন।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী শাহানাজ আক্তার বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পরে শশুর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিছে। মারা যাওয়ার পর সেখান থেকে পাঁচ লাখ টাকা দিছে টাকা এনে আমাকে জানায় নাই। পরে তার বন্ধুর কাছে আমি শুনতে পাই যে টাকা দিছে। এখন আমি আমার বাবার বাড়িতে আছি এখন তারা মেয়েরও খোঁজ নেয় না আমারও খোঁজ খবর নেয় না। আর বিল্ডিং আমার স্বামীর টাকায় করা আমার শ্বশুর এক টাকাও দেয় নাই এবং আমি ওই বাড়িতে গেলে তারা আমাকে মারবে এই হুমকি দেয়। এখন ওই এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যানরা যদি একটা ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে আমি ওই বাড়িতে আমার মেয়েকে নিয়ে থাকতে চাই। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
শাহানাজের ভাসুর সফিকুল ইসলাম সবুজ বলেন, তিনি যে অভিযোগ দিছে তার কোন রকম সত্যতা নাই। তাকে বাড়ি থেকেও বের করে দেয়া হয়নি। তার কাছে বিদেশ থেকে পাঠানো টাকার হিসাব চাওয়ায় তিনি বলেন হিসাব দেওয়ারও দরকার নেই, হিসাব নেওয়ারও দরকার নেই। তিনি যদি টাকা পায় তাহলে তার মুরুব্বি নিয়ে আসুক বসে সমাধান করা হবে।