1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪২ অপরাহ্ন

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা হিরুর চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় মানিকগঞ্জে বিএনপি নেতাকে মারধর, ৬ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৯ বার দেখা হয়েছে


স্টাফ রিপোর্টার:

চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় নিষিদ্ধ ঘোষিত মানিকগঞ্জে বেতিলা-মিতরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হিরুর নেতৃত্বে তার শুশুর শান্ত সহ ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আহত করার অভিযোগ করেছে বেতিলা-মিতরা ইউনিয়ন বিএনপির সহ কোষাধ্যক্ষ ও পালড়া বাজার সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিঠুন মোল্লা। তিনি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা মিতরা ইউনিয়নের চরগবিন্দপুর গ্রামের বাদশা মোল্লার ছেলে। এসময় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ৬ লাখ টাকা লুট হওয়ার অভিযোগও করে তিনি। পরে বাজারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মানিকগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ৬ তালায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

গত শনিবার (২৩নভেম্বর) সন্ধ্যায় পালড়া বাজারে মিঠুর অফিসে একই এলাকার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি খাইরুল ইসলাম হিরুর নেতৃত্বে ও তার শশুর আওলাদ হোসেন শান্ত, কামরুল, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলীর ভাই রাসেল সহ ১৫ থেকে ২০ জন লাঠিসুটা ও লোহার পাইপ দিয়ে হামলা চালিয়ে মারধর করে ৬ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন মিঠুন মোল্লা।

এর আগে গত শুক্রবার রাতে মিতরা লন্ডন ক্যাফেতে কালিয়াকৈর এলাকার আরশেদ মিয়ার কাছে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ২ লাখ টাকা দাবি করে শান্ত। এ নিয়ে প্রতিবাদ করেন মিঠুন মোল্লা। কথা কাটাকাটির জের ধরে উভয়ের মধ্যে হয় ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি। এই ক্ষোভেই পরের দিন সন্ধ্যায় পালরা বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় বাজারের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় তারা। পরে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত হিরু ও অন্য আরেক জনের দুইটি মোটরসাইকেল ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।

এবিষয়ে ভোক্তভোগী আরশেদ মিয়া বলেন, গত শুক্রবার সন্ধার পর মিতরা লন্ডন ক্যাফে আমি চা খাইতে ছিলাম এমন সময় স্থানীয় সাগর আহম্মেদ সাবু মেম্বারের ভাই শান্ত আমাকে ডেকে নিয়ে বলে যে আমাকে দুই লাখ টাকা দিবি। পরে আমি বলি কিসের টাকা দিমু, সে বলে চাইছি এক কথাই। পরে সেখানে দিয়ে যাচ্ছিল আমার পরিচিত পালড়া গ্রামেই বাড়ি নাম মিঠু তাকে ডাক দেই, পরে সে আসছে। এইটা নিয়ে কথাকাটি হলে সে মিঠুকে মারধর করে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত শান্ত বলেন, কে কার উপর হামলা করছে তারও বিচার পাওয়ার আশা আমারও, বিচার পাওয়ার আশাকে কেমন সবাই জানে। হামলার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বার বার এড়িয়ে যান এবং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি খাইরুল ইসলাম হিরু কি আপনার মেয়ের জামাই কিনা এবং হামলার সময় উপস্থিত ছিলেন কিনা জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিককে উদ্দেশ্যে করে বলে আপনি বেশি বাড়াবাড়ি করছেন বলে ফোনটি কেটে দেন।

শান্তর ভাই সাবু মেম্বার বলেন, আমার ভাইকে ওরা আক্রমণ করছে। আক্রমণ করার পর ওইখানে মারামারি হইছে।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury