স্টাফ রিপোর্টার:
গত ২৬ নভেম্বর, ২০২৪ জেলা তথ্য অফিস মানিকগঞ্জ এর আয়োজনে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তির আওতায় দিঘী ইউনিয়নের চান্দরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাঃ ফাহিমা আক্তার এর সভাপতিত্বে এক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা তথ্য অফিসার মোঃ নুর হোসেন প্রধান অতিথি হিসাবে সভায় উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মোঃ জহির উদ্দিন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ আব্দুল্লাহসহ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। অংশ গ্রহণকারী হিসাবে চান্দরা গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নারীরা অংশ গ্রহণ করে।
প্রধান অতিথি জেলা তথ্য অফিসার নুর হোসেন তার বক্তবে নারীর ক্ষমতায়ন,নারী অধিকার এবং গ্রামআদালতের গুরুত্ব ও সুযোগ সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি বলেন, এলাকায় ছোটখাট বিরোধ মারামারি, প্রতারনা পাওনা টাকা আদায় সংক্রান্ত বিরোধ হলে আপনারাই উনিয়ন পরিষদের গ্রামআদালতের আশ্রয় নিবেন,গ্রাম আদালত একটি আইনি আদালত এখানে অল্পসময়ে স্বল্প টাকায় ন্যায়বিচার পাওয়া যায় হয়রানী হতে হয়না।
সকল অংশগ্রহনকারীকে তাদের এ ধরনের কোন সমস্যা হলে গ্রামআদালতে আসার পরামর্শ দেন এবং পাড়াপ্রতিবেশীদেরকে ও গ্রামআদালত বিষয়ে জানানোর পরামর্শ দেন।
বিশেষ অতিথি প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার মোঃ জহির উদ্দিন গ্রামআদালত প্রকল্পের সুযোগসুবিধা,গঠনপ্রক্রিয়া এবং বিচার প্রক্রিয়ারধাপ,আর্থিক এখতিয়ার এবং ক্ষতিপুরন আদায়ের কৌশল ও প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন তিনি বলেন, গ্রামআদালত একটি আইনি আদালত স্থানীয় পর্যায়ে নারী,দরিদ্র প্রান্তীক জনগোষ্ঠীর ন্যায় বিচার পাওয়ার অন্যতম একটি প্রতিষ্টান হলো গ্রামআদালত। গ্রামআদালত একটি সমঝোতামূলক আদালত ৫ জনসদস্য নিয়ে গ্রামআদালত গঠিত হয় এবং ১০২০ টাকা ফিস দিয়ে অল্প সময়ে ন্যায় বিচার পাওয়া যায়।
বিশিষ্ট সমাজ সেবক আব্দুল্লাহ গ্রামআদালতের ক্ষমতা বিচার প্রক্রিয়ারধরন এবং প্রয়োনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন এবং সকল অংশ গ্রহণকারীকে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতমুখী হওয়ার আহব্বান করেন এবং নিজনিজ এলাকায় অন্যান্য জনগোষ্ঠীকেও জানানোর আহব্বান জানান। সভার সভাপতি প্রধান শিক্ষক ফাহিমা আক্তার সকল নারীদেরকে সচেতন হওয়ার আহব্বান জানান এবং গ্রামআদালতের বিচারিক ক্ষমতা এবং প্রক্রিয়া গুলো শুনে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং গ্রামবাসীকে নিজেদের মধ্যে কোন ছোটখাট বিরোধ দেখা দিলে প্রথমেই থানায় বা কোটে না গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামআদালতের আশ্রয় নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন এবং সভার সমাপ্তি ঘোষনা করেন।