স্টাফ রিপোর্টার:
আফরোজা খান রিতা। সাবেক মন্ত্রী হারুনার রশিদ খান মুন্নুর যোগ্য উত্তরসুরি। একাধারে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপি সভাপতি আফরোজা খান রিতা আওয়ামী লীগের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দীর্ঘ ১৬ বছরের আন্দোলন সংগ্রামে আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠেছেন জেলার সাধারন মানুষ এবং বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে।
বাবা হারুনার রশিদ খান মুন্নুর আদর্শে রাজনীতিতে আসলেও অতটা সহজ ছিল না দীর্ঘ এই পথ চলা। হামলা ও গায়েবী মামলার সম্মুখিন হতে হয়েছে একাধিকবার। আন্দোলন সংগ্রামে কখনোই পেছন ফিরে না তাকিয়ে বরং সাহসীকতার সাথে দলের হাজার হাজার নির্যাতিত নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছেন এক যুগেরও বেশী সময় ধরে।
বিগত দিনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মত কাজ করায় তৃণমুলের নেতাদের কাছেও জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে খুব বেশী সময় নিতে হয়নি তাকে। বাবার মত জনপ্রিয় ও পরিচ্ছ্ন্ন এই রাজনীতিবীদের দিকনির্দেশনায় আন্দোলন সংগ্রামে জেলার রাজপথ সরগরম রেখেছিলেন নেতাকর্মীরা। ঢাকার বড় বড় সব সভা সমাবেশেও থাকতো সরব উপস্থিতি। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছেও গ্রহণযোগ্যতার ঘাটতি নেই তৃণমূল থেকে বেড়ে ওঠা এই নেত্রীর।
দুইবারের জেলা বিএনপির সফল সভাপতি আফরোজা খান রিতার ক্যারিশমেটিক নেতৃত্ব জেলা বিএনপিকে যেমন ঐক্যবদ্ধ করেছে তেমনি সহযোগী সংগঠন কৃষকদল,যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, শ্রমিকদল,মহিলাদল সহ সকল সংগঠনকে সুসংগঠিত করে রেখেছে দীর্ঘদিন।
আর তাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জেলা বিএনপি সভাপতির নেতৃত্ব যেন প্রাণ ফিরে পায় সাধারন শিক্ষার্থীরাও। ঐক্যবদ্ধ বিএনপিকে নিয়ে নিজে রাজপথ থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনীকে হটিয়ে রাজ পথ দখল নেয় ৪ ও ৫ ই আগষ্ট।
আন্দোলনে আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়ে পাশে থাকে তার পরিচালিক মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
এই আন্দোলনে নিহত শিবালয়ের রফিকুল ইসলাম ও সাটুরিয়ার আফিকুল ইসলাম সাদের পরিবারগুলোর পাশে দাড়িয়ে সহায়তা করে চলেছেন সাধ্যমত।
হাসিনা সরকার পতনের পর জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝেও আস্থার প্রতিক হয়ে ওঠেন রিতা। তার নির্দেশনায় দলের নেতা কর্মীরা মন্দির পাহাড়া দিলে জেলা জুরে বয়ে আনে শান্তির বার্তা।
বালুমহল টেন্ডারবাজী চাঁদবাজদের বিরুদ্ধেও কঠোর বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। বিএনপির দেয়া ৩১ দফা বাস্তবায়নেও দিন রাত ছুটে চলছে জেলার এই কান্ডারি। তাই দলমত নির্বিশেষে সকলে কাছে গ্রহণযোগ্য আফরোজা খান রিতা বিএনপি হাইকমান্ডের কাছেও আস্থার প্রতিক হয়ে ওঠেছেন বলে ধারণা তৃণমুলের।
এবিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল খালেক শুভ বলেন, আফরোজা খান রিতা আপার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন যাবৎ ছাত্রদল আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেও তিনি আমাদের পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছে।
জেলা কৃষকদলের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সাঈদ বলেন, বিএনপির জন্য সৎ ও নিবেদিত নেত্রী আফরোজা খানম রিতা। সকল বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে কল্যানকর ও আস্থার প্রতীক অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।এছাড়া দানবির বাবার মতো তিনিও মসজিদ, মাদরাসা,স্কুল-কলেজ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এলাকার উন্নয়নে আগামীতে তাকে আমরা এমপি ও মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।
মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব তুহিনুর রহমান তুহিন বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা মানিকগঞ্জের সব মহলে আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠেছেন। তার সফল নেতৃত্বে মানিকগঞ্জের তিনটি সংসদীয় আসনে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয় নেত্রী হিসেবে পরিচিত।
মানিকগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এ্যাড. জিন্নাহ খান বলেন, আফরোজা খান রিতা আপা আমাদের অভিভাবক। আপার নেতৃত্বে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন আগের যে কোন সময়ের চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী। তারমতো মাতৃসুলফ নেত্রীর দিকনির্দেশনা ও সার্বিক সহয়োগিতা পেয়ে সুন্দরভাবে সংগঠনের কাজ করছি।
জেলা শ্রমিকদলের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক লিটন বলেন, আমরা সব সময় আফরোজা খান রিতার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছি এবং তার নির্দেশনা মোতাবেক মানিকগঞ্জকে আমরা চাঁদাবাজমুক্ত করেছি।
মানিকগঞ্জ জেলা মহিলাদলের সভাপতি সাবিহা হাবিব বলেন, মহিলাদলকে শক্তিশালী ও সুসংগঠিত রাখতে আমরা আফরোজা খান রিতা আপার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি।
মানিকগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ যাদু বলেন, আমাদের সবার প্রিয় আফরোজা খান রিতা আপা আন্দোলন সংগ্রামেও সফল এবং আগামীর মানিকগঞ্জের উন্নয়নেও তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখবেন। এটা মানিকগঞ্জবাসীর প্রত্যাশা।