স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধিদের দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় মেহেরাব খান ও মিরাজ নামে দুই ছাত্র প্রতিনিধি আহত হয়েছেন। মেহেরাব মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আর মিরাজ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে মানিকগঞ্জ পৌরসভার বেউথা এলাকায় ক্যাসেল রেস্টুরেন্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মারামারির পর রাতে সদর থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে গেলে পরে তা মিটমাট করে দেওয়া হয়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মিটমাট করে দেন।
জানা গেছে, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সমন্বয়ক ইসমাইল হোসেন রুদ্র মানিকগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে বেউথা এলাকার ক্যাসেল রেস্টুরেন্টে কর্মী সভা করেন। সভার এক পর্যায়ে দুই পক্ষের ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে তা মারামারি পর্যায়ে পৌছায়। এতে দুজন আহত হন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ওমর ফারুক বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির কারণে নিজেদের মধ্যে কিছুটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমরা এক হয়ে গেছি।
এবিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি এস এম আমান উল্লাহ বলেন, মারামারির ঘটনায় পর দুই পক্ষের ছাত্র প্রতিনিধিরা থানায় আসেন। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সমন্বয়ক রুদ্রসহ দুই পক্ষের সঙ্গে বসলে রাত ১১টার দিকে বিষয়টির সমাধান হয়। এ কারণে কোনো পক্ষ কোনো পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ না করে চলে যায়।